পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণের জন্য যুদ্ধ। a.〉》 এইরূপ ভাবের কথা বলিয়া, তিনি সৈন্যগণকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন । এখন প্রত্যক্ষ করিয়া যাহা দেখিলেন, তাহাতে তাহাদের সে মোহ অপগত হইল। এতদিন তাহার। যে সকল যুদ্ধ করিয়াছিলেন, ভারতীয় যুদ্ধের তুলনায়, তাহ বালকদিগের ক্রীড়া যুদ্ধ মাত্র। সে সকল যুদ্ধে, অলিকসন্দরের গর্বের মাত্র বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল—এইরূপ যুদ্ধে জয়যুক্ত হইয়া তিনি জশ্বিজেতা নামে অভিহিত হইবেন, এই আশায় স্ফীত হইয়াছিলেন। ভারতে র্তাহার যে যুদ্ধ হইয়াছিল, তাহাতে র্তাহাকে পূৰ্ব্বের উপার্জিত সুনামকে রক্ষা করিবার জন্য যুদ্ধ করিতে হইয়াছিল—কোন রূপে প্রাণরক্ষা করিয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন করিতে সমর্থ হইবেন, এইরূপ ভাবিয়া তাহাকে যুদ্ধ করিতে হইয়াছিল। সুদক্ষ সেনাপতির, সকল সময় সৈন্যগণকে প্রকৃত কথা অবগত করান না, প্রকৃত কথা অবগত হইলে পাছে তাহাদের মধ্যে বিভীষিকা উপস্থিত হয়, পাছে তাহাদের দ্রোহ বুদ্ধি উৎপন্ন হয়, এই আশঙ্কায় তাহারা যথার্থ বিযয় গোপন করিয়া, সহজ সাধ্য বিযয় অবগত করাইয়া, সৈন্তগণকে উৎসাহিত করিয়া থাকেন। সুবিচক্ষণ আলিক সন্দর, তাহার সেনানী ও সৈন্যগণকে আহবান করিয়া তাহাদের বীরত্বের যথেষ্ট প্রশংসা করিয়া বলিলেন, “আমাদের যুদ্ধক্লেশের অবসান হইবার সময় উপস্থিত হইয়াছে, আর একটু দক্ষতার সহিত কাৰ্য্য করিলেই আমর ভাবীযুদ্ধ সমুকু জয়যুক্ত হইব। আমামিগকে বাধা দিবার ভারতবাসীর সমস্ত শক্তি, গত যুদ্ধে নিঃশেষ প্রায় হইয়াছে। এখন ভারতের মহামূল্য দ্রব্যসমূহ সংগ্রহ করই আমাদিগের প্রধান কাৰ্ঘ্যে পরিগণিত হইয়াছে ; আমর। এখন যে দেশের 4 s