পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షిప్పి ভারতে অলিকসন্দর দিকে গমন করিতেছি, সেই দেশ চিরপ্রসিদ্ধ ধনরত্বের আধার ভূমি। পারস্যদেশে, যে সকল দ্রব্য দুলভ বলিয়া আমরা সংগ্ৰহ করিয়াছি, সে সকল দ্রব্য এপ্রদেশে সুলভ ও সৰ্ব্বত্র প্রচুর পরিমাণে প্রাপ্ত হওয়া যাইতেছে। এক্ষণে আমরা মণি, মুক্তা, স্বর্ণ, হস্তীদন্ত প্রভৃতি নানাপ্রকার বহুমূল্য পদার্থের দ্বারা কেবল মাত্র আপন আপন বাসগৃহ সুশোভিত করিব এরূপ নহে, পরস্তু সমস্ত মাসিদন ও গ্রীসভূমি এই সকল ধনরত্রে পরিপূর্ণ হইয়| উঠিবে।” অলিকসন্দরের এই প্রলোভন পূর্ণ কথা শুনিয় তাহার লুণ্ঠনপ্রিয় সৈন্যগণের লুণ্ঠন প্রবৃত্তি প্ৰবৰ্দ্ধিত হইল! তাহারা তাহার সহিত লুটপাট করিবার জন্য সৰ্ব্বত্র গমন করিতে প্রস্তুত হইল । যুদ্ধে পরাজিত হইলে প্রত্যাগমন পথে পাছে বাধা প্রাপ্ত হন, এই আশঙ্কায় দূরদর্শী অলিকসন্দর, তক্ষশিলার দুর্গে যেরূপ কতকগুলি তাহার স্বদেশী সৈন্ত রাখিয়াছিলেন, সেইরূপ তিনি এস্থলেও ক্রিতিরসকে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া অবস্থান করিতে আদেশ প্রদান করেন । নিকটবৰ্ত্তী পৰ্ব্বতে জাহাজ নিৰ্ম্মাণোপযোগী প্রচুর পরিমাণে কাষ্ঠ প্রাপ্ত হওয়া যায়। অলিকসন্দর, হিমালয় হইতে প্রকাণ্ডকায় বৃক্ষ সকল কৰ্ত্তন করিবার জন্য লোক প্রেরণ করেন—গ্রীকগণ প্রকাণ্ডকায় সর্প, অদ্ভূত দর্শন গণ্ডার, প্রভৃতি দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়াছিল। এই সকল কাষ্ঠে বহুসংখ্যক সমুদ্র গমনোপযোগী নোক প্রস্তুত হইয়াছিল। যে সকল সেনা ও সেনানী গৰ্তযুদ্ধে বীরত্ব ও রণপাণ্ডিত্য দেখাইয়াছিল, অলিকসন্দর, তাহাদিগের গুণানুসারে কাহাকে