পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংগলার যুদ্ধ। Հծ > ক্ষত্রিয়ের শকট হইতে শকটান্তরে লম্ফ দিয়া গমন করিয়া শক্ৰগণের প্রতি শরজাল বর্ষণ করিতে লাগিল।” অলিকসন্দর দেখিলেন, অশ্বারোহীদের দ্বারা বিশেষ কিছু কাৰ্য্য হইতেছেন, এজন্য ঢালীপদাতিকগণকে, ঘোরতর বিক্রমে আক্রমণ করিতে প্রেরণ করেন । গ্রীক গ্রন্থকারের বলেন, ক্ষত্রিরবীরের শকটের প্রথম শ্রেণীর সন্মুখ ভাগ পরিত্যাগ করিয়া, দ্বিতীয় শ্রেণীর সন্মুখ ভাগে অবস্থান করিয়া শ ক্রগণকে আক্রমণ করেন । ইহাতে মাসিদনগণের পক্ষে অত্যন্ত অসুবিধা হইয়াছিল। ভারতীয়বীরের ঘোরতর পরাক্রমে শক্রগণেরপ্রতি অজস্র অস্ত্রপাত করিতে লাগিল । মাসিদনগণ কোন উপায় দেখিতে ন! পাইয়া সম্মুখের শকট সকল টানিয়া দূরে নিক্ষেপ করিয়া ক্ষত্রিয়গণকে ঘোরতররূপে আক্রমণ করেন । অলিকসন্দরের স্বদেশবাসী গ্রন্থকারের বলেন, ভারতীয় যোদ্ধার এ স্থানে অবস্থান না করিয়া নগর মধ্যে প্রবেশ করিয়া দ্বাররোধ করিয়াছিল । অলিক সন্দর সেই দিনেই নগর প্রাচীরের সম্মুখে শিবির সংস্থাপন করিয়া যতদুর পরিলেন, ততদুর নগর প্রাচীর অবরোধ করিলেন। এই নগরের অনতিদূরে একটি হ্রদ ছিল, পাছে শক্রগণ তাহা অতিক্রমণ করিয়া পলায়ন করে, এজন্য তাহার চতুঃপাশ্বে রাত্রিকালে অশ্বারোহী প্রহরী সকল রক্ষিত হইল। নগর ব| দুর্গ মধ্যে অবরুদ্ধ হইয়। থাকা, আর শক্রহস্তে বন্দী হইয়া থাকা, উভয়ই প্রায় সমতুল্য। এরূপ অবস্থায় অনেক সময় শত্রু ও দুর্ভিক্ষ উভয়েরই সম্মুখীন হইতে হয়। আর এক কথা যে সকল যোদ্ধা অবরুদ্ধ হইয় অকণ্যের আয় সময় অতিবাহিত করে, তাহার দুর্গের বহির্ভাগে থাকিতে পাইলে শক্রর যথেষ্ট প্রতিকুলাচরণ