পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহত মাসিদন সৰ্ব্বাপেক্ষ বোশী । ২২১ চরণ করা ন্যায়াকুমোদিত হইতে পারেনা। আর স্বদেশের বিরুদ্ধাচরণ না করিলে, কখনই কোন রূপে সে, বিজেতার কাছে দণ্ডণীয় হইতে পারেন । পুরু যদি তটস্থ ভাব অবলম্বন করিতেন, তাহ হইলে তিনি স্বদেশবাসী অথবা বিদেশবাসী উভয়েরই কাছে প্রশংসনীয় হইতেন তাহাতে সন্দেহ নাই । আলিকসন্দর, ইষ্টক প্রাচীরের নিম্নদেশ খনন করিয়া প্রাচীর ভাঙ্গিয় ফেলিবার উপক্রম করিলেন, কোন স্থানে প্রাচীর উল্লজঘন করিয়া নগর মধ্যে গমন করিবার চেষ্টা করিতে লগিলেন। এইরূপে নগর মধ্যে গমন করিলে, উভয় পক্ষে তুমুল যুদ্ধের প্রারম্ভ হইল। এই দারুণ সংগ্রামে, ভারতবাসীরা প্রাণের মমতা পরিত্যাগ করিয়া, স্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, যেরূপ কালাস্তক কৃতাস্তের ন্যায় প্রচণ্ড বিক্রমে যুদ্ধ করিয়াছিলেন—অকাতরে র্তাহারা যেরূপ এই পবিত্র যুদ্ধযজ্ঞে প্রাণ উৎসর্গ করিয়াছিলেন, তাহা চিরকাল বিস্ময়ের সহিত পঠিত হইবে । বিদেশী লেখকেরা, হিন্দুবীরগণের অলৌকিক অবদান পরম্পরার কথা, বড় লিপিবদ্ধ করেন নাই ; কিন্তু তাহার, অলিকসন্দরের সৈন্তগণ মধ্যে যেরূপ শোণিত স্রোত প্রবাহিত করিয়াছিলেন, অলিকসন্দরের ক্রোধ বহ্লিকে যেরূপ ভাবে সন্ধুক্ষিত করিয়াছিলেন, তাহাতে র্তাহাদের অধ্যবসায়, দৃঢ়তা, এবং স্বদেশ রক্ষার জন্য প্রাণপাতে অকাতরতা, প্রভৃতি অনুমান করা যাইতে পারে । এই অল্পকালস্থায়ী ভয়ঙ্কর যুদ্ধে, অলিঙ্কসন্দরের পক্ষে, এরিয়ন বলেন, একহাজার দুইশত ব্যক্তি আহত হইয়াছিল! এই আহত সংখ্যার মধ্যে প্রধান প্রধান সেনানীরা ও অন্তর্গত ছিলেন আর একশত মাসিদন যোদ্ধা নিহত হইয়াছিল। ইয়ুরোপীয় ঐতি