পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিগ্বিজয় বাসনা দূরে গেল। ২২৫ এস্থানে অবস্থান করিয়া মসিদনগণ অপর পারের কথা যাহা শুনিলেন, তাহাতে তাহাদের দিগ্বিজয় বাসনা অন্তৰ্হিত হইল,— ভারতের অমূল্যধন রত্ন সংগ্রহকামনার পরিবর্তে, স্বদেশে প্রত্যাগমনের উৎকট ইচ্ছা, তাহাদিগকে আকুলিত করিতে লাগিল । তাহারা শুনিল বিপাশার অপর পর অত্যন্ত উৰ্ব্বর, তথাকার জনগণ কৃষিকার্য্যে যেরূপ সুনিপুণ, যুদ্ধস্থলেও সেইরূপ রণপাণ্ডিত্য ও সাহসিকত দেখাইয় থাকে। তাহদের রাজ্যশাসন প্রণালী অতি সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ হইয় থাকে। ন্যায় ও মৃদুতার সহিত সন্ত্রাস্ত জনগণ, জনসাধারণকে শাসন করিয়া থাকেন। অন্যান্ত রাজ্য অপেক্ষ এ রাজ্যের হস্তীবল অনেক বেশী, এসকল হস্তী অত্যন্ত দীর্ঘকায় এবং সাহসী, তার পর গাঙ্গেয় প্রদেশ, সে দেশের অধীশ্বর, যুদ্ধক্ষেত্রে ২লক্ষ পদাতিক, ২০হাজার অশ্বারোহী এবং ৩হাজার হস্তী, লইয়া যাইতে সমর্থ। পুরুর হস্তীর কাছে ইতিপূৰ্ব্বে তাহদের যে শোচনীয় দশ হইয়াছিল সেই সকল কথা মাসিদনদের স্মরণ পথে উদিত হইল। অপর পারে পূর্ব অপেক্ষ অধিক সংখ্যক বীর্য্যবান হস্তী তাহদের অভ্যর্থনার জন্য অপেক্ষা করিতেছে, পুরুর মুখে এ কথা শুনিয়া, মাসিদনবাসীর ইংকম্প উপস্থিত হইল। গ্রীক গ্রন্থকার ইঙ্গিতে বলিয়াছেন, “অপর পারের অধিবাসীরা, সুচারুরূপে সুশাসিত হইতেছে”। সুতরাং অলিকসন্দর, অগ্রসর না হইলে ও দোষভাগী হইতে পারেন না, যেহেতু ইয়ুরোপীয় মহাশয়ের, কোন রাজ্য অধিকারভূক্ত করিবার জন্ঠ, কোন অছিল না পাইলে, তাহাদের রাজ্য অপেক্ষ স্বশাস্থিত হইলেও,রাজুশাসন ভাল হইতেছে না, এইরূপ দোষারোপ করিয়া পররাজ্য আক্রমণ করিয়া থাকেন। সেই জন্য