পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলিকসন্দরের প্রতারণ। చరి& বিবেচনা করিলেন। তিনি সন্দেহ দূর করিবার জন্য, পুরুকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন, পুরু উক্ত কথা সমর্থন করিয়া, অধিকন্তু বলিলেন, গঙ্গারাড়ের অধীশ্বর অকৰ্ম্মণ্য, সে নাপিত পুত্র বলিয়া, জন সাধারণ তাহাকে শ্রদ্ধার চক্ষে অবলোকন করে না। এই লোকটার পিতা, একজন সাধারাণ লোক ছিল—ইহার প্রতি রাণী আসক্ত হইয়া, স্বীয় বৃদ্ধপতিকে হত্যা করিয়াছিল, তার পর এর পুত্র রাজদণ্ড অধিকার করে । প্রায় সত্তর দিন ধরিয়া মুষলধারে ও প্রচণ্ড বেগে জল ঝড় ও বজপাত হওয়াতে, অলিকসন্দরের সৈন্ত্যগণের ক্লেশের অবধি ছিলনা। তাহারা ক্ষিন্ন ও রুগ্ন হইয়াছিল, ইহার উপর আরো বিপদের মধ্যবৰ্ত্তী হত্তয় তাহদের পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিল। সুতরাং আর কেহই অগ্রসর হইতে স্বীকৃত হইলন । অলিকসন্দর যখন অগ্রসর হইবার সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিলেন তখন সৈন্যগণের আহলাদের সীমা রহিলনা । অলিকসন্দর, বিজিত দেশের সীমা নিৰ্দ্ধারণ করিবার জন্য, বিপাশার তটে দ্বাদশটি বেদী প্রতিষ্ঠা করেন । উত্তরকালের লোকগণকে প্রতারিত ও মুগ্ধ করিবার জন্য, প্রকৃত প্রস্তাবে যত টুকু স্থানে শিবির সংস্থাপন করিয়াছিলেন ; তাহ অপেক্ষা অনেক বেশী ভূমি অধিকার করিয়া, শিবিরের গড় খাই খনন করাইয়াছিলেন। তাহারা বৃহদাকার পর্যন্ধপ্রস্তুত করাইয়া, র্তাহারা যে অত্ন্যস্ত দীর্ঘাকৃতির লোক ছিলেন, তাহ জানাইবার জন্ত এইরূপ নানাবিধ উপায় অবলম্বন করিয়া, ভবিষ্যৎ পুরুষদিগকে সম্মোহিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি-ভারতবাসীকে যেরূপ নিৰ্ব্বোধ মনে করিয়াছিল, বাস্তবিকপক্ষে তাহার