বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিজয় কীৰ্ত্তি নষ্ট হইয়া থাকিবে ।
২৩৭

ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, সে বিষয়ে মতভেদ দেখিতে পাওয়া যায়। অধিকাংশ লেখক ইহা পশ্চিম তটে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল সিদ্ধান্ত করিয়া থাকেন।

 এ সকল বেদী প্রতিষ্ঠার সময় যথেষ্ট পরিমাণে নৃত্যগীত ঘোড়দৌড় কুস্তি প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হইয়াছিল। এস্থানে তিনি বড় বেশীদিন ছিলেন বলিয়া বোধ হয় না । অল্পকালের ভিতর, তাঁহার যে সকল বিজয়কীৰ্ত্তি প্রস্তুত হইয়াছিল, তাহা কতদূর দৃঢ় হইয়াছিল, সে বিষয় ও সন্দেহ হইয়া থাকে। অলিকসন্দরের মৃত্যুর পর, প্রবল প্রতাপ চন্দ্রগুপ্ত যখন অলিকসন্দরের অধিকৃত পাঞ্জাব, স্বীয় রাজ্যের অন্তর্গত করেন—যখন তিনি স্বদেশদ্রোহীগণকে উগ্ৰদণ্ড প্রদান করিয়া তাহাদিগের গুরুতর পাপের কথঞ্চিৎ প্রায়শ্চিত্যবিধান করেন, সে সময় যে তিনি যবন, নরপতির বিজয় চিহ্ন অক্ষুন্ন অবস্থায় থাকিতে দিয়াছিলেন, সে বিষয় সন্দেহ উপস্থিত হইয়া থাকে। সম্ভবতঃ তাহা আমূল উৎপাটিত হইয়া থাকিবে ।

চতুর্থ অধ্যায়।

 অলিকসন্দর, বিপাশার তটে বিজয়কীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিয়া প্রত্যাগমনের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । ইয়ুরোপীয়দের কাছে নূতন মহাদেশের আবিষ্কারের পর, স্প্যানিয়ার্ডরা যেরূপ সমস্ত ভূভাগ পরস্পর বিভাগ করিয়া লয়, সেইরূপ অলিকসন্দরও