পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ88 ভারতে অলিকসর । অলিকসন্দর কোন নিরাপদ স্থানে নৌক সকল তীরে লাগাইয়া ; যে সকল নৌকা ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল, বা আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছিল তাহার পুনঃ সংস্কার করান । এসময় হইতে ভারতবাসীরা, নূতন নীতি অবলম্বন করিয়া, অলিকসন্দরের সহিত যুদ্ধ করিতে আরম্ভ করেন। ইতিপূর্বে একজনের পরাজয়ের সহিত সমস্ত দেশ পরাজিত হইয়াছে, একজনের কাপুরুষতায় সমস্ত জনবৃন্দ ক্লীবের ন্যায় বৈদেশিক নরপতির চরণতলে শরণাপন্ন হইয়াছে। একজনের দুর্বলতায়, সমস্ত দেশ যে বৈদেশিক শক্রর বগুত। স্বীকার করিবে, ইহা সম্পূর্ণ অনুচিৎ এবং নীতিবিরুদ্ধ । বিশেষতঃ রাজন্তবর্গ সুখের কোমলক্রেগড়ে লালিত, পালিত ও বৰ্দ্ধিত ; কৰ্ত্তব্য অকুরোধে একবার যুদ্ধ করিয়া পরাজিত হইলে, তাহারা পুনরায় শস্ত্রগ্রহণ না করিয়া পৈত্রিক প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষা করিবার জন্য সন্ধিবন্ধন পাশে আবদ্ধ হইয়া, পরাধীনতা স্বীকার করিতে পারেন।—কিন্তু জন সাধারণ র্তাহাদের ভীরুতার জন্য, তাহদের সুখ স্বচ্ছন্দত। লাভের জন্য, তাহাদের স্বার্থপরতার জন্য, নিজেদের সহজগত স্বাধীনতা রত্ন, কখনই বিসর্জন প্রদান করিতে পারে না । তাই এসকল প্রদেশের কাশ্যপ, ভরদ্বাজ, বাৎস, প্রভৃতি গোত্রের কৌপিনধারী নিঃস্ব ব্রাহ্মণগণ, রাজারা, অলিকসন্দরের, শরণাপন্ন হইলেও, দেশের জন সাধারণকে সঙ্গে লইয়া, দেশের সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে, কৃপাণপানি হইয়৷ দণ্ডায়মান হয়। শত সহস্র ব্যক্তির নিধনেও, তাহাদিগের সাহসেৰু মাত্রা,হাস না হইয়া, বরং যেন বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল— অজস্রশোণিতপাতে সারপ্রাপ্ত উর্বরভূমিতে শালবৃক্ষেরষ্ঠায়, দেশ