পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরহত্যায় সুনিপুণ । Ջ8Գ সহিত ঘোরতর যুদ্ধ করিয়াছিল। হনন ব্যাপারে কসাই যেরূপ সিদ্ধ হস্ত, সে যেরূপ নিপুনত সহকারে হনন কাৰ্য্য নিম্পন্ন করিয়া থাকে ;–সে যেরূপ অল্প সময়ে সমস্ত কার্ষ্য সাফ করিয়া থাকে, তাহ অপেক্ষা অধিকতর বলশালী, সাহসী ব্যক্তি, সেরূপ করিয়া কার্য্য সম্পাদন করিতে সমর্থ হয় না। অলিকসন্দর, আট দশ বৎসর নরহত্যার স্রোত প্রবাহিত করিয়া এবিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন । সুতরাং ভারতবাসী, বিশেষ বলবান ও সাহসী হইলেও, নরহত্যা কার্য্যে অনভিজ্ঞ হওয়াতে, অলিকসন্দরকে এবিষয় পরাস্ত করিতে সমর্থ হয় নাই। নদীর তটে, ভারতবাসীরা বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করিলেও, ইহার ফল র্তাহাদিগের পক্ষে শুভজনক হয় নাই, ফল অনুকুল হইয়াছিল কিনা, তাহ আমার বৈদেশিক লেখকের নিকট হইতে প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহারা কতদুর যথার্থ কথা বলিয়াছেন, সে বিষয় অনেক সময় ঘোরতর সন্দেহ উপস্থিত হইয়া থাকে। সে যাহাঁই হউক, তাহারা বলেন, অলিকসন্দর এ যুদ্ধে জয়লাভ করেন, শক্রদিগকে তাড়াইয়া দিয়া নদী উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন । যাহারা নগরে গমন করিয়া পুনরায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইতেছিল, তাহাদিগকে নগরে অবরোধ করিয়া আক্রমণ করেন । কুৰ্ত্তিয়স বলেন, এই ঘোরতর যুদ্ধে মাসিদনদের শাণিত অস্ত্রের নিকট হইতে, কোন বয়ঃপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিস্কৃতি লাভ করিতে সমর্থ হয় নাই। যে সকল ব্যক্তি শাণিত অস্ত্র হইতে রক্ষা পাইয়াছিল, তাহারা দাসরূপে বিক্রিত হইয়াছিল। বৰ্ব্বর” ভারতবাসীরা. যুদ্ধে বিরত র্যক্তির উপর কখন অস্ত্রোত্তলন, অথবা পরাজিতের স্ত্রী,বালক-বালিকাদিগকে,