ミQパめ ভারতে অলিকসন্দর সন্দর, প্রবল পরাক্রমের সহিত ব্রাহ্মণ জনপদ অবরোধ করেন। ব্রাহ্মণরাও নির্ভয়চিত্তে, অলিকসন্দরের আক্রমণ রোধ করিয়া ধৰ্ম্ম রক্ষার জন্য, প্রাণ প্রদানে প্রস্তুত হইলেন। মাসিদনেরা, প্রাচীরের নিয়ভাগ খনন করিয়া ভাঙ্গিয়া ফেলিবার উপক্রম করিল। অধিবাসীর প্রাচীর পতনোন্মুখ বুঝিয়। দুর্গ মধ্যে । গমন করিতে লাগিলেন । এই সময় কতকগুলি মাসিদন, তাহাদিগকে অকুসরণ করে। ব্রাহ্মণের প্রত্যাবর্তন করিয়া, তাহদিগকে আক্রমণ করেন। মাসিদন বীরের, ব্রাহ্মণদিগের গতিরোধ করিতে পারিলেন না ; বরং পলায়নপর হইলেন। এইক্ষণকালের যুদ্ধে, গ্রীক গ্রন্থকার বলেন, ২৫ জন মাসিদনবীর যমলোকের অতিথি হইয়াছিলেন । ইয়ুরোপীয় সেনার শোণিতপাতে, অলিকসন্দরের ক্রোধের সীমা রহিল না। তিনি প্রাচীর ভাঙ্গিয়া ফেলিতে, এবং মই লাগাইয়া উপরে উঠিবার জন্য সকলকে আদেশ করিলেন । দুর্গ প্রাচীরের নিয়ভাগ খনন করায় ইহ পড়িয়া গেল, অপর দিকে অলিকসন্দর সর্ব প্রথমে প্রাচীরের উপর উঠিয়া সকলকে বিঘ্নিত করিলেন । অলিকসন্দরকে সৰ্ব্বাগ্রে উঠিতে দেখিয় সৈন্যগণ আর নিশ্চেষ্ট থাকিতে পারিল না, সকলেই প্রাচীর অতিক্রমণ করিয়া, শক্রগণকে আক্রমণ করিবার জন্য ধাবিত হইল। কেহ বা প্রাচীরে উঠিয়া, কেহ বা ভগ্ন স্থান দিয়া, দুর্গ মধ্যে গমন করিল। দুর্গ মধ্যস্থ ব্রাহ্মণগণ, শক্ৰগণকে দুর্গ অধিকার করিতে দেখিয়া, অবসন্ন না হইয়৷ ঘোরতর বিক্রমে তাহাদিগকে আক্রমণ করিলেন । কেহ বা আপন আপন গৃহে অগ্নি প্রদান করিয়া এই দৃশুকে অধিকতর ভীষণ করিয়া তুললেন। এরিয়ান বলেন, “ইহঁাদের অধিকাংশই
