পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মণবন্দী কম । ২৫৭ যুদ্ধ করিয়া শরীর ত্যাগ করেন। প্রায় ৫ হাজার নিহত হইয়াছিলেন । ইহার তেজস্বী বলিয়া ইহঁাদের মধ্যে বন্দীয় সংখ্যা খুব কম হইয়াছিল।” যথার্থ ব্রাহ্মণ, কখন অর্থ লোভে মুগ্ধ, অথবা মৃত্যু ভয়ে কৰ্ত্তব্য ভ্রষ্ট হন না, তাই ব্রাহ্মণদের মধ্যে বন্দীর সংখ্যা খুব কম হইয়াছিল । পিথন, র্যাহাদের বিরুদ্ধে প্রেরিত হইয়াছিলেন, গ্রীক গ্রন্থকারেরা বলেন, তিনি ও কার্য্য সিদ্ধ করিয়া শিবিরে প্রত্যাগমন করিয়াছিলেন । অলিকসন্দর, ব্রাহ্মণ গ্রামে একদিবস অবস্থান করিয়া, সৈন্যগণকে বিশ্রাম করিবার অবকাশ প্রদান করেন। এই প্রদেশে অন্যান্য যে সকল গ্রাম ও নগর ছিল, সেই সকল স্থান অধিকার করিবার জন্য, তিনি আবার বহির্গত হইলেন । মহামারিভয় উপস্থিত হইলে, মনুষ্য সকল যেরূপ গৃহ দ্বার পরিত্যাগ করিয়৷ দূরতর নিরাপদ প্রদেশে গমন করে, সেইরূপ অলিকসন্দর রূপ মারিভয়ে ইহঁরাও গ্রাম নগর পরিত্যাগ করিয়া দুর্গম মরু স্থানের আশ্রয় গ্রহণ করেন। অলিকসন্দর যখন অবগত হইলেন, এদেশের অধিবাসীরা গ্রামও নগর শৃষ্ঠ করিয়া চলিয়াগিয়াছে ; তখন তিনি ডেমিটাস ও পিথনকে, নদীর তটবর্তী ভূভাগে, যে সকল জঙ্গল ছিল, সেই সকল স্থানে যদি কোন শক্ৰ গুপ্তভাবে অবস্থান করিয়া থাকে, তাহাদিগকে আক্রমণ করিবার জন্য প্রেরণ করেন । ইহঁারা নাকি জঙ্গলের ভিতর কতকগুলি লোককে সংহার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। অলিকসন্দর, আর একটা বড় নগরের বিরুদ্ধে যাত্র। করি লেন।. এস্থানে অনেক ভারতবাসী আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল।