পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ ভারতে অলিকসন্দর দুর্গমধ্যে অলিকসন্দরের পতন সংবাদ, ইত্যবসরে মাসিদন সৈন্য মধ্যে প্রচারিত হইল। তাহার কৰ্ত্তব্যবিমূঢ় না হইয়া, নিজেদের অধীশ্বরকে উদ্ধার করিবার জন্য, দুর্গ প্রাচীর অতিক্রম করিবার জন্য, দলে দলে পৃথক পৃথক উপায় অবলম্বন করিতে লাগিলেন। পৃথিবীতে এরূপ কোন বাধা নাই, যাহা দৃঢ়ব্ৰত ব্যক্তির গতিরোধ করিতে সমর্থ হয় । একবার মানুষের হৃদয়ে সেই পবিত্রবৃত্তি জাগরূক হইলে, জগতে তাহার আর কোন কাৰ্য্য অসম্পন্ন থাকে না। মাসিদনরা সেই প্রবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়া, কেহ নগরদ্বায় ভাঙ্গিয়া প্রবেশ করিল, কেহ পরম্পরের স্কন্ধে আরোহণ করিয়া প্রাচীর লঙ্ঘন পূৰ্ব্বক দুর্গমধ্যে পতিত হইল, কেহব। দুর্গের মৃন্ময় প্রাচীরে কীলকবিদ্ধ করিয়া তাহার সহায়তায় দুর্গমধ্যে গমন করিল, কেহ বা কুঠার সহযোগে প্রাচীর ভগ্ন করিয়া ভিতরে প্রবেশ করিল। অলিকসন্দর, দুর্গবাসীর হস্তগত হইবার উপক্রমকালে, মাসিদনরা দানব বিক্রমে ঘোরতর হুঙ্কার করিতে করিতে আপনাদের বিপন্ন প্রভুর নিকট উপস্থিত হইল। এইবার দুর্গবাসীও দুর্গশক্র, উভয়ের ঘোরতর যুদ্ধের আরম্ভ হইল । অলিকসন্দরের পাশ্বে মামিদন যোদ্ধার মৃতদেহ পুঞ্জীকৃত হইল । যিনি অন্য সময়ে গৃহ হইতে গৃহান্তরে গমন করেন না, কিন্তু উৎসব সময়ে সেই গৃহী গৃহের সর্বত্র যেরূপ গমনাগমন করিয়া থাকেন, সেইরূপ ভারতীয় যোদ্ধাগণ, প্রসন্নবদনে সৰ্ব্বত্র বিচরণ করিয়াছিলেন । এই অতিথি সৎকারযজ্ঞে, হৃদয়ের উষ্ণশোণিত পাদ্যরূপে নিবেদিত হইয়াছিল। এই ঘোরতর যুদ্ধে কোন ভারতবাসী পলায়ণ বা কাহারও মুখে দীনতা ব্যঞ্জক লক্ষণ স্বচিত হয় নাই। সকলেই অমানবদনে, শক্রর আক্রমণ রোধ করিতে ‘