পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՏ)8 ভারতে অলিকসন্দর দশা দেখিয়া সকলেই বিষাদসাগরে নিমগ্ন হইলেন। যে শরে তিনি বিদ্ধ হইয়াছিলেন তাহা বুকের ভিতর অনেকটা প্রবিষ্ট হইয়াছিল, আরো খানিকট না কাটিলে তাহ বাহির করা দুষ্কর কিন্তু এ সময় অস্ত্রবৈদ্য কাটিতে সাহসী হইল না। পাছে তাহ হইতে আরো অধিক পরিমাণ রক্ত নির্গত হইয়া মৃত্যু হয়, এই ভয়ে তিনি এ কার্য্যে অগ্রসর হইলেন না । আলিকসন্দর এই অবস্থা অবগত হইয়া চিকিৎসককে স্বীয় কার্য্য করিতে ইঙ্গিত করেন । শল্য নির্গত হইলে তাহ হইতে আবার প্রচুর পরিমাণে রুধির ধারা বহির্গত হইতে লাগিল, অলিকসন্দর মুচ্ছিত হইয়া পড়িলেন। এই মুচ্ছ বহুক্ষণ স্থায়ী হইয়াছিল, অনেকে তাহার প্রাণবায়ু বহির্গত হইয়াছে মনে করিতে লাগিল, কোন কোন গ্রন্থকার বলেন, একজন সেনানী তরবারীর সাহায্যে ক্ষত করিয়া শর বাহির করিয়াছিলেন । | অলিকসন্দরের এই ঘটনা, মৃত্যু সংবাদ রূপে চান্দ্রভাগার তটে প্রধান শিবিরে নীত হইল। তথায় সকলের দুঃখের সীমা রহিল না—দুঃখের প্রথম বেগ একটু কমিয়া আসিলে,নূতন নূতন ভাবনা আসিয়া তাহাদিগকে আকুলিত করিয়া তুলিল। কোন উপযুক্ত ব্যক্তি তাহদের নায়কের পদে আসীন হইবে, কেই বা তাহাদিগের এই বিপদসাগরে কর্ণধার হইয়া দেশে লইয়া যাইতে সমর্থ হইবে। এখনও যুদ্ধে কৃত নিশ্চয় বহুসংখ্যক ভারতবাসী তাহাদিগের গমন পথ রোধ করিবার জন্য শস্ত্রপাণি হইয়। অবস্থান করিতেছে, যাহারা উদাসীন ভাব অবলম্বন করিয়াছিল, তাহারা অলিকসন্দরের মৃত্যু কথা শুনিয়া শীঘ্র শক্ৰতা করিবেন, এই ভাবনা আসিয়া তাহাদিগকে অধিকতর