বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম অধ্যায়

 পাঞ্জাব অতিক্রমণ করিয়া, অলিকসন্দর সিন্ধুদেশে উপস্থিত হইলেন। এপ্রদেশের অধিবাসীরা তাঁহাকে বাধা দিতে বড় কম ত্রুটি করে নাই। প্রাচীন লেখকদিগের, যে সকল ত্রুটিত বিবরণ আমরা প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহাতে এপ্রদেশের যুদ্ধকাহিনী বড় বিশেষরূপে বর্ণিত হয় নাই। যাহা বা বলা হইয়াছে কাহাও তাড়াতাড়ি সঙ্ক্ষেপে কথিত হইয়াছে। সঙ্ক্ষেপে কথিত হইলেও, তাহাতে আমরা বুঝিতে পারি, এপ্রদেশের ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র, সকলে মিলিত হইয়া অব্যবস্থিত যুদ্ধ প্রণালী অবলম্বন করিয়া, অলিকসন্দরকে ব্যতিব্যস্ত করিয়াছিল। এবং তিনি প্রাণ ও মান লইয়া কোনরূপে পলায়ন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এজন্য ব্রাহ্মণগণকে, অলিকসন্দরের ক্রোধাগ্নিতে, বড় কম শরীর আহুতি প্রদান করিতে হয় নাই। পতঙ্গপালের ন্যায় জীবনবিসর্জন করিলেও, দেশবাসীর হৃদয়ে মৃত্যুজনিত আতঙ্ক উপস্থিত হইয়া, তাহাদিগকে কর্ত্তব্য পথ হইতে বিচলিত করিতে সমর্থ হয় নাই। তাঁহাদের অদ্ভুত আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিলে, শরীর লোমাঞ্চিত হইয় উঠে, মৃত্যু যেন অতি তুচ্ছ, খেলিবার সামগ্রী বলিয়া বোধ হইয়া থাকে। ”

 অলিকসন্ধর, চন্দ্রভাগা ও সিন্ধু সঙ্গমে অবস্থান করিয়া পাশ্ববর্ত্তী প্রদেশের অধীশ্বরবৃন্দকে পরাজয় করিবার জন্য, সেনানী