পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S_'\\ ভারতে অলিকসন্দর ষ্ঠান করিয়া দিগ্বিজয়ী নাম অর্জন করিতেছিলেন, সেই সময়ে মুষিকানদের অধিপতি, নাম মাত্রও অধীনতা পাশ ছিন্ন করিয়া, বিদেশী বৰ্ব্বর শক্রর বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করেন । গ্রীক গ্রন্থকারের বলেন, মুষিকপতি, কেপীনধারী ব্রাহ্মণদের উত্তেজনায় পার্থিব সুখের কথা ভুলিয়া গিয়া, স্বগীয় কীৰ্ত্তি রক্ষা করিবার জন্য, প্রাণপণে ঘোরতর বিক্রমে বিদেশীগণকে বিদূরিত করিবার জন্য, অব্যবস্থিত সমরের অবতারণ করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এরূপ অদ্ভুত সমর, আর কোন দেশে হইয়াছে কিনা তাহ আমরা অবগত নহি । রাজশক্তি সংরক্ষণ এবং নিজেদের মুখ স্বচ্ছন্দতার যাহাতে হানী না হয়, সে জন্য ক্লেশ সহনে অনভ্যস্ত রাজন্য বর্গ, অলিকসন্দরের শরণাপন্ন হইলেও, ব্রাহ্মণগণ দেশের জন সাধারণকে মিলিত করিয়া, যে রূপ উদ্যম, ক্লেশসহিষ্ণুতা, নিঃস্বার্থপরতা, এবং মৃত্যুভয়শূন্যতা, দেখাইয়া ছিলেন,তাহ পৃথিবীর ইতিহাসে নিতান্ত সুলভ নহে। ব্রাহ্মণগণ, গ্রামে গ্রামে, নগরে নগরে, গমনকরিয়া সকলকে সমুত্তেজিত করিতে লাগিলেন। ব্রাহ্মণদের উদাহরণে অকুপ্রাণিত হইয়া, দেশের ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, সকলে মিলিত হইয়া নানাপ্রকারে, ব্যষ্টি ও সমষ্টি ভাৰে যে যাহাতে সুবিধা পাইল, সে সেইরূপ : ভাবে বৈদেশিক শক্রকে ব্যতিব্যস্ত করিতে লাগিল। ভারতবাসীরা, স্বদেশ রক্ষার জন্য শত শত সহস্ৰ সহস্র সংখ্যায় জীবন বিসর্জন করিলেও, এক মুহুর্তের জন্য তাহাদিগের হৃদয়ে মৃত্যুভয় জনিত অবসাদ আসিয়া, তাহাদিগকে অবসন্ন করিতে সমর্থ হয় নাই | ' o অলিকসন্দর, এইরূপ প্রতিপদে বাধাপ্রাপ্ত হইয়াও, তিনি