পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজার উদাহরণ অনুকৃত হয় নাই। ২৭৭ বিমূঢ় চিত্ত হন নাই। তিনি সাম্ব (Sambo ) রাজ্য আক্রমণ করিলেন । সাস্বপতি পৈত্রিক প্রাণ রক্ষার জন্য, অলিকলন্দরের শরণাপন্ন হইলেও, তাহার রাজ্যের অধিবাসীরা, তাহার আচরণ অনুকরণ করে নাই । তিনি বিদেশী শত্রুর আগমন জন্য নগর দ্বার অনর্গল করিলেও, তাহীর প্রজাবৃন্দ নগর দ্বার রোধ করিয়া প্রচণ্ড পরাক্রমে মাসিদনদিগের সহিত যুদ্ধ করিয়া আপনাদিগের স্বতন্ত্রত রক্ষা করিয়াছিল । অলি কসন্দর, এই প্রদেশের একটি সুদৃঢ় নগর অবরোধ করিয়৷ কোনরূপে হস্তগত করিতে সমর্থ না হইলে, অবশেষে তিনি সুড়ঙ্গ খনন করিয়া সসৈন্যে নগর মধ্যে আবিভূত হন। গ্রীক গ্রন্থকারের বলেন, ইহাতে ভারতবাসীরা অত্যন্ত চমৎকৃত হইয়াছিল । সম্মুখ সমরে বিফল কাম হইয়া, এইরূপে প্রতারণা করিয়া অলিকসন্দর কার্য্যে সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন । অলি কসন্দরের ক্রোধ, ব্রাহ্মণদের উপর বেশী করিয়া পতিত হইয়াছিল। এই অল্প পরিমিত ভূভাগে, অল্প সময়ের মধ্যে, কত যে ব্রাহ্মণ হত্যা করিয়াছিলেন, তাহা ইয়ত্ব করা যায় না । কেহ বলেন তিনি ৮০ হাজার মনুষ্য হত্যা করিয়াছিলেন। আর কত যে ক্রীতদাস রূপে বিক্রয় করিয়াছিলেন, তাহার হিসাব কিছু পাওয়া যায় না । প্লুতার্ক বলেন, সাম্বদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যে সকল ব্রাহ্মণ, মাদিদনদিগের বিরুদ্ধে জন সাধারণকে উত্তেজিত করেন র্তাহাদিগের মধ্যে দশ জন প্রধান ব্রাহ্মণ ধৃত হইয়া, অলিকসন্দর সমীপে আনীত হন। যে সকল ব্রাহ্মণ শাস্ত্রচর্চায় জীবন অতি বাহিত করিয়াছেন, যাহারা শক্রমিত্র ভেদ জ্ঞান না করিয়া ર 8