পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকের শিক্ষা । மு ২৩ একজন কঠোর নীতিপরায়ণ ছিলেন। সম্ভবতঃ ইহার শিক্ষায় অলিকসন্দরের শরীর সুদৃঢ় বলবান ও কৰ্ম্মঠ হইয়াছিল। লাইসিমেক্স নামক একজন ব্যক্তির হস্তে অলিকসন্দরের শিক্ষার ভার অপিত হয় । প্ন টার্ক, ইহাকে বড় ভাল চক্ষে দেখেন নাই—রাজাদের মোসাহেবের রাজা ও রাজপুত্রগণকে ইতিহাস প্রসিদ্ধ ব্যক্তির সহিত যেরূপ তুলনা করিয়া আনন্দ করিয়া থাকে, ইনিও সেইরূপ অলিকসন্দরকে হোমরের বীর এচিলসের সহিত তুলনা করিয়া আমোদ প্রকাশ করিত। এই সময় হইতে অলিকসন্দরের হৃদয়ে হোমর প্রীতি অঙ্কুরিত হয় কিনা তাহ আমরা অবগত নহি । এরিষ্টটেলের মতানুসারে দ্বিতীয় শিক্ষা অর্থাৎ ৮ হইতে ১৭ বৎসর পর্য্যন্ত যে শিক্ষা দেওয়া হয় তাহার প্রথম ভাগে সাহিত্য-ব্যায়াম— সংগীত এবং চিত্র সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হইত। ব্যাকরণ, পদ্ধ, গদ্য ও ইতিহাস সাহিত্যের মধ্যে অন্তভুক্ত হইত। ব্যায়ামে-শরীরের দৃঢ়তা,সুন্দর গঠন, কৰ্ম্মনিপুণতা প্রভৃতি বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে । তিনি বালকগণের প্রথম অবস্থায় উৎকট ব্যায়ামের পক্ষপাতি ছিলেন না । ইহাতে শরীর গঠনের ব্যাঘাত জন্মাইয়া থাকে। এ বিষয়ে তিনি হিসাব দেখাইয়া বলেন যে ওলিমৃফিক উৎসবে যাহারা জয়লাভ করিয়াছেন, তাহাদিগের মধ্যে দুই তিন জন ব্যতীত আর কেহ যৌবন প্রৌঢ় উভয় অবস্থায় জয়যুক্ত হইতে সমর্থ হন নাই। কচিছেলের মাথায় শিক্ষার বোঝা দেওয়া, বা তাহার দ্বারা অতিরিক্ত ব্যায়াম কবন শরীর গঠনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিজনক । সৌন্দৰ্য্যজ্ঞানহীন মানুষ অন্ধের সমান বলিলে অত্যুক্তি হয় না। সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান