পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলিকসন্দরের অর্থ-কষ্ট । షి సె) কষ্ট দূর করিবার জন্য র্তাহার সহচরদের নিকুট কিছু কিছু টাকা লইয়াছিলেন, সেক্রেটারী ইউমিনসের নিকট তিন শত টালান্ট চাহিয়াছিলেন, ইউমিনস অত টাকা তাহার নাই বলিয়া, একশত টলাণ্ট দিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন। অলিকসন্দর সে টাকা লন নাই, ফিরাইয়া দিয়াছিলেন, বুঝিলেন র্তাহাকে ইউমিনস প্রতারণা করিয়াছে। অলিকসন্দর, অমুগতের এ অপরাধ উপেক্ষা করিবার পাত্র নহেন । তিনি গোপনভাবে ভূত্যকে দিয়া ইউনিমসের শিবিরে অগ্নি প্রদান করিলেন, দেখিতে দেখিতে সকলের সম্মুখে, ইউনিমসের শিবির ভগ্নীভূত হইয়া গেল অলিকসন্দরের যে সকল কাগজ পত্র ছিল, তাহাও ইহার সহিত পুড়িয়া গেল । সমস্ত পুড়িয়া গেলে দেখা গেল প্রায় এক সহস্র টালান্ট মুল্যের স্বর্ণ, রোপ্য, গলিয়া তাল বাধিয়া গিয়াছে । অলিক সন্দর নাকি দয়া করিয়া ইউমিনসের নিকট হইতে আর কিছুই চাহেন নাই। যে সকল কাগজ পত্র পুড়িয়া গিয়াছিল, সে সকল পূরণ করিবার জন্য অলিকসন্দর কৰ্ম্মচারীগণকে তাহদের পত্রের অনুলিপি পাঠাইতে আদেশ করিয়া ইহার পূরণ করিয়াছিলেন। এই ঘটনাতে অলিকসন্দরের অবস্থা বেশ ভাল করিয়া বুঝিতে পারা যায়। ক্রোধন অলিকসন্দরের, অভাবজনিত ক্রোধের মাত্রা সীমা অতিক্রম করিয়া বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল, তাই তিনি কৰ্ত্তব্য অকৰ্ত্তব্য বিচার না করিয়া অনুজীবীর শিবিরে.অগ্নিপ্রদান করিয়াছিলেন। ইহাতে বেশ বুঝিতে পারা যায় যে, ভারতবাসীর হস্তে তিনি বেশ লাঞ্ছিত হইয়াছিলেন, ইহাদিগের উৎপীড়নে তিনি কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি হারাইয়াছিলেন, বিপাশার তটে তিনি যেরূপ অতি বৃহৎ