পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ8 ভারতে অলিকসন্দর ধাহাতে বৰ্দ্ধিত হয় সে বিষয়ে গ্ৰীক শিক্ষকগণ ছাত্রের বাল্যকাল হইতে চোক ফুটাইয়া দিতেন । চিত্রাঙ্কণ বিষয়ক শিক্ষাও ছাত্রগণকে বেশ ভাল রূপই দেওয়া হইত। প্রাচীন গ্রীসের সৌন্দর্ষ্যজ্ঞান ইতিহাস প্রসিদ্ধ, ভাস্কর কার্য্যে গ্ৰীক অদ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়াছিল। ছাত্রকে কণ্ঠ সঙ্গীত এবং যন্ত্রসঙ্গীত উভয়ই শিক্ষা দেওয়া হইত। বালকের শিক্ষার ইহা একটি অঙ্গ বলিয়া বিবেচিত হইত। শিশু যেরূপ ঝুমঝুমির শব্দে আনন্দ প্রকাশ করিয়া থাকে। সেইরূপ শ্রান্ত মানুষ সঙ্গীত শ্রবণ করিয়া প্রফুল্লিত হইয় থাকে। অলিকসন্দরের যে সময় একাদশ বৎসর বয়ক্রম, সে সময় ডিমস্থিনিস, এসচিনিস এবং আরো আটজন এথেন্সের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি, রাজকাৰ্য্যের জন্য ফিলিপের দরবারে আগমন করেন। রাজকাৰ্য্যের পর ফিলিপ সমাগত এথেন্সবাসীর কাছে তাহার পুত্রের পরিচয় প্রদান করেন। অলিকসন্দর বীণ (হাপ) যন্ত্র বাজাইয়া এবং নাটকের স্থান বিশেষ আবৃত্তি করিয়া নিজের শিক্ষার পরিচয় প্রদান করেন । ডিমস্থিনিস রাজপুত্রের উচ্চারণ গত দোষ ধরিলেও একাদশ বৎসরের বালকের পক্ষে ইহা সামান্য প্রশংসার কথা নহে । খৃষ্টের ৩৪২ পূৰ্ব্বে অলিকসন্দারের পঞ্চদশ বৎসর বয়ক্রমের সময় এরিষ্টটেল রাজকুমারের শিক্ষার ভার স্বয়ং গ্রহণ করেন, এবং তাহার এসিয়া গমনের পূর্ব সময় পৰ্য্যন্ত তাহার নিকট অবস্থান করিয়াছিলেন। এরিষ্টটেল, ইয়ুরোপের প্রাচীন যুগের একজন অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি ন্যায় দর্শন,প্রকৃতি বিজ্ঞান, রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ক অতি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ রচনা