পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিত্ৰত সাদরে গৃহীত হইত। ৩০১ ব্যক্তিগণ স্বতন্ত্র তার সহিত অপেন অপেন কার্স্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন। আমাদের এই অনাদিকালের সামাজিক ইতিহাসে, ব্রাহ্মণ শূদ্রে, বা জাতিতে জাতিতে, মারামারি, কাটাকাটি, হইতে কখন দেখি নাই। দুই একবার কোন এক ব্রাহ্মণের সহিত, কোন এক রাজা ব! রাজবংশের সহিত বিরোধ হইয়াছিল । তাহা জাতিতে জাতিতে বিরোধ নহে, সে বিরোধ ব্যক্তিগত ভাবে । পশ্চিমে একটা কথা আছে যে, “বিভক্ত করিয়। শাসন কর, এই নীতি অনুসরণ করিয়া, তাহার বলেন, “স্বার্থপর ব্রাহ্মণগুলা শূদ্রেদের প্রতি বড়ই অসদ্ব্যবহার করিতেন,—সমাজে তাহাদের স্থান অনেক নিয়ে, ইত্যাদি ইত্যাদি দোষারোপ করিয়া আমাদের দেশের অজ্ঞদের বুদ্ধিভেদ উৎপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়া থাকেন। আমাদের দেশের একশ্রেণীর লেখক, র্তাহীদের গুরুদের কথার ভিতর প্রবেশ না করিয়া, আমনি তাহারাও ধুয়া তোলেন যে, ব্রাহ্মণগণের মতন দুষ্টজাতি জগতে অার নাই, হিন্দুর যাহা কিছু সৰ্ব্বনাশ এই ব্রাহ্মণদের দ্বারা সাধিত হইয়াছে। এই সকল প্রলাপ উক্তির সম্বন্ধে এইটুকু বলিলে ষথেষ্ট হইবে যে, উপযুক্ত ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব, কেহই কখন অপলাপ করিতে সমর্থ হয় না। আর অনুপযুক্ত সহস্ৰ চেষ্টা তেও গুরুস্থানে সমাসীন হইতে পারে না, তাহার পদচ্যুতি হইবেই হইবে । যে দেশে ব্যাধের নিকট ও ব্রাহ্মণ ধৰ্ম্ম কথা শ্রবণ করিতেন, যে দেশে নিষাদরাজের মিত্রত সাদরে গৃহীত হইত, সে দেশে জাতি বিদ্বেষের কথা উঠা কোনরূপে উচিত নহে। জাতিভেদ সকল দেশেই আছে, ইহার সহিত বিদ্বেষও আছে }, ভারতে জাতিভেদ থাকিয়াও বিদ্বেষ নাই, ইহাই ইহার २७