পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে কালের শাসন প্রণালী | @6 సె বিদেশী, রাজ্য মধ্যে উপস্থিত হইলে, যাহাতে তাহার কোন রূপ অসুবিধা না হয়, সে জন্য কৰ্ম্মচারী সকল নিযুক্ত হইত। রাজ্যের দূরতর প্রদেশে, অভ্যন্তর ভাগে কোথায় কি হইল, সেই সমস্ত সংবাদ, রাজ্যেশ্বর যথাযথ রূপে অবগত হইতেন । সংবাদ সংগ্ৰহ করা ভারতীয় রাজ্যবর্গের অতিপ্রাচীনতম পদ্ধতি । রামায়ণে ও অন্যান্য সংহিতাতে একখ। আমর। অবগত হইয়৷ থাকি । অশোকের সময় যে কৰ্ম্মচারী সংবাদ সংগ্ৰহ করিত, তিনি “প্রতিবেদক” নামে পরিচিত হইতেন। এরিয়ান ও এরূপ কৰ্ম্মচারীর কথা উল্লেখ করিয়াছেন। পান্থশালা, চিকিৎসালয় প্রভূতি সংস্থাপন করা, অতিপ্রাচীন কাল হইতে আমাদের দেশে চলিয়া আসিতেছে। পৃথিবীর অন্য প্রদেশ যখন ঘোরতর অজ্ঞান অন্ধকারে আচ্ছন্নছিল, তখন আমাদের দেশে এইরূপ সাধারণের হিতজনক কাৰ্য্য অনুষ্ঠিত হইত। প্রজাদিগের জলকষ্ট দূর, এবং শষ্য জননের সুবিধার জন্য, খালাদি খনন কাৰ্য্য অতি প্রাচীন কাল হইতে আমাদের দেশের রাজার অতি যত্নের সহিত সম্পন্ন করিতেন। অশোকের অনুশাসন, এবং রামায়ণ, মহাভারত, প্রভৃতি গ্রন্থে এবিষয়ের ভুরি ভুরি প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় । অলিক সন্দর ও র্তাহার সহচর বিজ্ঞ গ্রীকগণ, আমাদের রাজ্যশাসন ব্যবস্থা দেখিয় প্রসন্ন হইয়াছিলেন । র্তাহারা আমাদের দেশে রাজতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্র উভয় প্রকার শাসন প্রণালী দেখিয়াছিলুেন। আমাদের দেশের রাজার যেরূপ ভাবে শিক্ষিত হইতেন, তুহাতে তাহারা যথেচ্ছাচারী হইতে পারিতুেন না। র্তাহারা জাগতিক সুখ দুঃখে মুগ্ধ না হইয়া, ন্যায়ানুসারে প্রজ -