পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সদৃগুণের বিরোধী । بلاك সুশিক্ষিত না হইলেও, শত্রুজয়ে তাহারা সিদ্ধ হস্ত এবং প্রজাপালনে সুনিপুণ ছিলেন। ঐশ্বৰ্য্য যেরূপ সদৃশুণের বিরোধী এরূপ আর কিছুই নহে। রোমের জগৎজয়ের পর, অর্থই রোমকে পরাজয় করিয়াছিল । ইহার যে দ্বার দিয়া নিধনত৷ বাহিরে গমন করিয়াছিলেন, সেই দ্বার দিয়া বিজাতীয় বিদেশী পাপ সকল নগর মধ্যে প্রবেশ করিয়াছিল। তারপর সেই অদ্ভূত পরাক্রম পরিমিতাচারী রোমকদিগের বংশধরগণ ভোজন বিষয়ে এরূপ উচ্ছ জ্বল হইল, এরূপ কদাচারী হইল, তখন তাহ দিগের বিলোপ সাধন প্রকৃতির বাঞ্ছনীয় হইয়া উঠিল। বেশী উদাহরণ দিয়া আমরা আর বিষয় বাড়াইতে ইচ্ছা করি না, অল্পদিনের কথা স্মরণ করুন, মুসলমানের সামান্ত সময়ের মধ্যে কি অপূৰ্ব্ব প্রভাব দেখাইয়াছিলেন। তাহাও জাগতিক ইতিহাসে স্মরণীয় বিষয়। যে সময় মুসলমানগণ জগদূজয়ে প্রবৃত্ত হন, সে সময়ে তাহার। খুব পরিমিতাচারী ছিলেন । সে সময় মুসলমান সৈন্তগণের উদকই প্রধান পেয়,দুগ্ধ ফল মূল এবং অন্নই তাহাদিগের প্রধান খাদ্য পরিকল্পিত হইয়াছিল। মহাপ্রাণ ওমর, যবের রুটি আর জল খাইয়। শরীর পোষণ করিয়াছিলেন। তারপর, মুসলমানদের বিলাসীতা যেন পৃথিবীর সকল জাতি অপেক্ষ সীমা অতিক্রম করিয়া বৃদ্ধি পাইয়াছিল। তাহাদের রাজবাটির দৈনিক ব্যয় আড়াই লক্ষ টাকার বেশী, তাহাদের রন্ধনের ইন্ধনের জন্য, দালচিনি, চন্দনকাষ্ঠ ব্যবহৃত হইত। বল-বাহুল্য, ইহার ফলও অল্প সময়ের মধ্যে ফলিয়া ছিল। মানুষ যেমন অতিভোজন করিয়া কালগ্রাসে পতিত হয়। সেইরূপ সমাজও অমিত ভোজন করিয়ু, ধ্বংস মুখে পতিতু হইয়াছে,তাহা