পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏬᏌ ভারতে অলিকসন্দর। মুখশ্ৰী, ও অসাধারণ শক্তির কাছে, তাহাদের আশা ফলবতী হয় নাই। প্রাচীন লেখকের বলেন, অলিকসন্দরের মুখশ্ৰী' অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ছিল—চক্ষুদ্বয় বৃহৎ ও উজ্জল, ইহাতেই যেন তাহার সমস্ত শক্তি নিহিত ছিল। মুখ ও চিবুক, লক্ষ্য করিবার বিষয়। সে কালের লেখকেরা অলিকসন্দরকে পশুভাব বিবর্জিত বলিয়। বর্ণন করিয়াছেন, কিন্তু মুখ ও চিবুক একটু ভাল করিয়া দেখিলে সে কথার উপর সন্দেহ উপস্থিত হইয় থাকে। সত্য বটে জীবনের প্রথম অবস্থায় অলিকসন্দর, ইন্দ্ৰিয় জয় করিয়াছিলেন, এবং ইহারই ফলে তিনি অসাধারণ বিজয় লাভে সমর্থ হইয়াছিলেন, তার পর কিন্তু অজিতেন্দ্রিয়তার সহিত র্তাহার অধঃপতনের আরম্ভ হইয়াছিল । অলিকসন্দর স্বভাবতঃ একটু বাম দিকে মাতা হেলাইয়া রখিতেন—তাহার শরীর ও নিশ্বাস হইতে একটু সুমধুর গন্ধ বাহির হইত। অলিকসন্দরের চরিত্রে একটি বিষয় বিশেষরূপে বিকাশপ্রাপ্ত হইয়াছে, তাহা তাহার “আমিত্ব” এই আমিত্বের প্রসার র্তাহাতে এরূপ বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, তাহ সাধারণতঃ মনুষ্য মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। প্রথম, ফিলিপের ন্যায় অসাধারণ ব্যক্তির পুত্র হওয়াতে ও র্তাহার এই আমিত্বের বৃদ্ধির পক্ষে অনেকটা সাহায্য করিরাছে, দ্বিতীয় এরিষ্টটেলের ন্যায় ব্যক্তির কাছে শিক্ষা লাভে ও তাহার আমিত্ব পরিববৰ্দ্ধিত হইয়াছে । তৃতীয় অল্প বয়সে স্বাধীনভাবে কাৰ্য্য করিয়া সফলতার সহিত র্তাহার আমিত্ব যথেষ্ট বৃদ্ধি পাইয়াছে, চতুর্থ মোসাহেবের দল ইহার ধনবানদের যেরূপ মাথা বিগড়াইয়া দেয়, সেরূপ আর কেহ দিতে পারে না। অলিকসন্দরের কাছে এইরূপ মোসাহেবের