পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ভারতে অলিকসন্দর হইলেন। তিনি শক্রকে বিচার করিবার সময় না দিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়াছিলেন বলিয়াই এরূপ লোকোত্তর বিজয় লাভে সমর্থ হইয়াছিলেন । শীঘ্ৰগতি ও অকস্মাৎ আক্রমণ যুদ্ধে জয় লাভের মূলমন্ত্র। অলিকসন্দর এই মূল মন্ত্রে সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন, তাই বিজয় তাহাকে ভজনা করিয়াছিল। অলিকসন্দারের বাসনা সফল হইল । থেবকে উগ্ৰ দণ্ড প্রদান করায় সমস্ত গ্রীস ভয়ে তাহাকে তজনা করিল। আবার করিন্থে মহাসভার অধিবেশন হইল, এ সভায়, একুশ বৎসরের অলিকসন্দর সমস্ত গ্রীসের সেনানী-প্রধান পদে বরিত হইয়৷ সকলকে পারস্ত পতির বিরুদ্ধে লইয়া যাইতে প্রতিশ্রুত হইলেন । এই সভায় গ্রীসের প্রত্যেক রাজ্য হইতে প্রধান প্রধান ব্যক্তি ব্যতীত প্রসিদ্ধ দার্শনিক পণ্ডিত, এবং রাজনীতিকগণ ও আগমন করিয়া অলিকসন্দরকে সম্মাননা করেন । স্বার্থের তাড়নায় এই সকল ব্যক্তি, যে সময় অলিকসন্দরের কীৰ্ত্তি কথা মুক্তকণ্ঠে কীৰ্ত্তণ করিতে ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে আর একজন তত্ত্বদশী মহাপুরুষ করিন্থের উপকণ্ঠে অবস্থান করিয়া নিজের চিন্তায় নিমগ্ন ছিলেন । এই সাধু পুরুষের নাম ডায়োজিনিস । অলিকসন্দার মনে করিয়া ছিলেন, ডায়োজিনিস ও র্তাহার কাছে উপস্থিত হইয় তাহার সম্বৰ্দ্ধনা করিবেন । কিন্তু তাহ হইল না—গুণগ্রাহী অলিকসন্দরই তাহার কাছে গমন করিয়া নিজের সম্মান বৃদ্ধি করিয়াছিলেন । অলিৰ সন্দর যে সময় ডায়োজিনিসের কাছে উপস্থিত হন, সে সময় তিনি রোদ পোহাইতে ছিলেন। অলিকসন্দর বিশেষ শ্রদ্ধার সহিত আলাপ করিয়া, তাহার কোন