পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয় ও পরাজয় উভয়ের জন্য প্রস্তুত । ৮৫ রূপ সমকক্ষ না হইলে, ও র্তাহাদিগের সহিত আমাদিগের ন্যায় বিওসিয়ান, ফিলোপনিসিয়ান, ফ্রেসিয়ান অশ্বারোহী ন৷ থাকিলেও তাহারা পারসীকগণকে পরাস্ত করিয়া গন্তব্য স্থানে উপস্থিত হইতে সমর্থ হইয়াছিল।” ইত্যাদি এবং অন্যান্য তৎকালোচিৎ বাক্যে অলিকসন্দর সেনানীগণকে সমুৎসাহিত করিয়াছিলেন। শ্রোতৃবর্গ অলিকন্দরের কথায় যুদ্ধের জন্য এরূপ অধীর হইয়াছিল, যে ক্ষণবিলম্বও তাহাদিগেরপক্ষে ক্লেশ জনক হইয়াছিল। আলেকজনদর সেন ও সেনানীগণকে ভোজন করিতে আজ্ঞা দিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইতে আদেশ দিলেন। ঘাটির অবস্থা অবগত হইবার জন্য, তিনি কতকগুলি অশ্বারোহী ও ধনুধশরীকে তদভিমুখে প্রেরণ করিলেন । তিনি স্বয়ং সমস্ত সৈন্য পরিচালনা করিয়৷ নিশীথ রাত্রে পুনরায় ঘাটি অধিকার করেন। যাহাতে শক্র অকস্থাৎ আক্রমণ করিতে না পারে সেজন্য উপযুক্ত প্রহরীগণকে যথা স্থানে অবস্থান করিতে আদেশ করিলেন । অলিকসন্দর সেনানীগণকে উৎসাহিত করিবার জন্য, মুখে যাই বলুন না কেন, তিনি বিপদের গুরুত্ব যথাযথ অনুভব করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । বিজয় লাভে অসমর্থ হইলেও তাহার এ পরাজয় ও শ্লাঘনীয় বোধে চিরদিন স্মরণীয় হইত, এবিষয়ে সন্দেহ নাই । অলিকসন্দর জয় ও পরাজয় উভয়ের জন্য প্রস্তুত হইয়া, পৰ্ব্বতের শিখরদেশে মশালের আলোক সাহায্যে অধিরোহণ করিয়া জয়লাভের জন্য ভগবানের উদেশে উপাসন করেন। সৈন্যগণ যুদ্ধসজ্জাতেই কিয়ৎক্ষ বিশ্রাম করিয়া সুৰ্যোদয়ের পূৰ্ব্বে গমন করিতে আদিষ্ট হইল ।