পাতা:ভারতের অলিকসন্দর - সত্যচরণশাস্ত্রী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ ভারতে অলিকসন্দর হাজার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—প্রাণ প্রদান করিয়াও অভিষ্ট সাধনে কৃতনিশ্চয় পুরুষের হস্তে যে, একলক্ষ পদাতিক এবং দশ হাজার অশ্বারোহী নিহত এবং প্রায় পাচলক্ষ সৈনিক যে পরাভূত হইয়৷ প্রাণ লইয়া পলায়ন করিবে ইহা কিছু আশ্চর্ষ্য নহে। যেখানে পুরুষ, একপ্রাণে—চামড়ার সুখ দুঃখের প্রতি ক্ৰক্ষেপ না করিয়া, কাৰ্য্য করিতে অগ্রসর হন, সেখানে তাহদের প্রতিকূলে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড দণ্ডায়মান হইলেও, সেই লোকোত্তর পুরুষগণ অসামান্য সফলতা লাভ করিয়া জগৎমধ্যে প্রপূজিত হইয়া থাকেন । এই ঘোরতর সংগ্রামে অলিকসন্দরের পক্ষীয় পাচশত চারজন আহত, এবং একশত ৮২ জন যুদ্ধবীর সুরলোকে গমন করিয়াছিল । এই যুদ্ধে জয়লাভ করিয়া অলিকসন্দর যেরূপ প্রধান্ত লাভ করিয়াছিলেন, তাহার তুলনায় এই হতাহতের সংখ্যা কিছুই নহে ইহা বলাই বাহুল্য । একটা ছেলের অবিমূৰ্য্যকারিতার ফলে যে দারাকে স্ত্রীপুত্র মাতা প্রভূতিকে পরিত্যাগ করিয়া প্রাণ লইয়া পলায়ণ করিতে হইবে, ইহা তিনি স্বপ্নেওঁ চিন্তা করিতে পারেন নাই। যুদ্ধস্থল পরিত্যাগ করিয়া, দারা অতি অল্প সংখ্যক সংচর সহ পলায়ণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। রাত্রির অন্ধকার, তাহার এই কার্য্যের সহায়তা করিয়াছিল। এরূপ কথিত হয়, দারা যে ঘোটকীতে আরোহণ করিয়াছিল, সেই ঘোটকী তাহার নবপ্রস্থত সাবকের অনুরাগে অতি দ্রুতবেগে গৃহ উদ্দেঙ্গে গমন করিয়াছিল। এজন্য পরিশ্রাস্ত অলিকসন্দর ও ভাগর সৈনিকগণ দায়ার অনুসরণ করিষ্ঠে সমর্থ হয় নাই। এইজন্ত দারাও নিৰ্ব্বিঘ্নে নিরাপদ স্থানে গমন করিতে পারিয়াছিলেন ।