পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীলসা দ্বিতীয় গুহাটির আয়তন দৈর্ঘ্যে বিশ ফুট এবং প্রন্থেও বিশ ফুট, ইহাও সম্পূর্ণ পাহাড়ের অভ্যন্তরে নিৰ্ম্মিত। একটিমাত্র দ্বার ভিতরে প্রবেশের জন্য রহিয়াছে। তৃতীয় গুহাটি যদিও ক্ষুদ্ৰ—৮ × ৬ ফুট মাত্র, তথাপি ইহার মধ্যে একটি সুদৰ্শন চতুভূজ নারায়ণ-মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রহিয়াছে। এই মূৰ্ত্তিটি দর্শন করিলে দর্শকের হৃদয় ভক্তি ও মাধুর্ঘ্যে পরিপূর্ণ হইয়া যায়, বাহ্য জগতের কোন চিন্তা থাকে না । শিল্পী র্তাহার প্রাণের অব্যক্ত ভাবের প্রেরণাকে মূৰ্ত্ত করিয়া তুলিয়াছেন তঁহারই সাধনার বলে। মনের ভাব ব্যক্ত করিতে পারাতেই শিল্পী ও সাহিত্যিকের কৃতিত্ব। চতুর্থ গুহার প্রবেশ-দ্বারের চৌকাঠের কারুকাৰ্য্য এখনও অটুট আছে। গুহার মধ্যে বেদীর উপর ক্ষোদিত ত্ৰিনয়ন শিবলিঙ্গ রহিয়াছে। দ্বারের বামে বাহিরে পর্বতগাত্রে ছয় ফুট উচ্চ গণপতির সুন্দর মূৰ্ত্তি বিরাজিত—গজেন্দ্ৰবদন লম্বোদর সুন্দর সিদ্ধিদাতার মূৰ্ত্তিটি পরম রমণীয়, গ্ৰাম্য নরনারীরা শুভদিনে আসিয়া সিদ্ধিলাভের আশায় সিদ্ধিদাতার গাত্রে সিন্দুর লেপিয়া যায়। ধ্বংসোন্মুখ পঞ্চম গুহাটির বহির্গাত্রে এগার ফুট উচ্চ বিরাট বরাহমূৰ্ত্তি এখনও অটুট ও অমান রহিয়াছে। শিল্পী তাহার সমস্ত শক্তি দিয়া সৃষ্টিকৰ্ত্তার বিশাল, বিরাট মূৰ্ত্তির কল্পনা এই বরাহ অবতার মূৰ্ত্তিতে প্ৰকাশ করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। মুখ-গহবরে প্রায় প্রবিষ্ট পঞ্চ রমণীমূৰ্ত্তি শ্ৰীভগবানের অনন্ত মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে। মস্তকোপরি অনন্তনাগ ফণা বিস্তার করিয়া বরাহাবতারত্ব প্ৰকাশ করিতেছে। बढ़iश् क्वाडों2 \g३ Gy