পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীলসা করিতেছেন। নারায়ণের মস্তকের উপরে অনন্ত-নাগ সহস্ৰ ফণা বিস্তার করিয়া আছে, আর এই নাগের কুণ্ডলীকৃত অবয়বে শ্ৰীভগবানের অনন্তশয্যা রচিত। পাথরের উপর আঁচড় দিয়া দক্ষ শিল্পী ভগবানের অসীম অনন্ত শক্তি ও মহিমা বিকাশ করিয়াছেন । এই মহিমামণ্ডিত ঐশভাবযুক্ত পরমসুিগ্ধ নারায়ণ-মূৰ্ত্তি শিল্পী অপূর্ব ভক্তি ও শক্তি দিয়া পাথরে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। ভারতের শিল্পীরা বাস্তব আদর্শ (মডেল) সম্মুখে রাখিয়া কোন ক্ষোদনকাৰ্য্য করিতেন না ; শিল্পীদের চিত্তে যে অব্যক্ত ভাবের উদয় হইত। তাহাকেই তাহারা কল্পনা ও সৃষ্টিশক্তির সাহায্যে রূপ প্ৰদান করিতেন । শিল্পী যেন পাথরে জীবন প্ৰদান করিয়াছেন। নিম্নভাগে দুইটি ভক্ত তাঁহাদের ভক্তিপূর্ণ অৰ্ঘ করযোড়ে সেই বিশাল দেবতার চরণে ঢালিয়া দিতেছেন। আত্মনিবেদনের এমনই ভাব পাথরের মূৰ্ত্তি দুইটিতে ফুটিয়া উঠিয়াছে যে তাহ দেখিলেই সেই মঙ্গলময়ের চরণে আত্মনিবেদন করিতে স্বতঃই প্ৰবৃত্তি হয়। একটি প্ৰকাণ্ড নিৰ্ম্মম কঠিন পাষাণকে কত সাধ্যসাধনা করিয়া কত যত্নে ও কত কৌশলে তাহার দেহে আঁচড় দিলে তবে তাহা এরূপ করুণার আকার ধারণ করে, এত আনন্দের ছটা ব্যক্ত করে । সুদক্ষ শিল্পী তাহার সংযম ও একাগ্ৰতার দ্বারাই অপূর্ব মনোরম পরিকল্পনায় শিলার অঙ্গে ফুটাইয়া তোলে আনন্দের মূৰ্ত্তি, পাষাণে দেয় প্ৰাণ । চতুৰ্দশ হইতে সপ্তদশ পৰ্য্যন্ত চারিটি গুহার মাত্র ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান আছে। অষ্টাদশ গুহাটি পর্বতের উপরে, এক সঙ্কীর্ণ পথে কয়েকটি সোপান দিয়া নিম্নে অবতরণ করিয়া এই গুহাতে প্ৰবেশ করিতে হয়। গুহার আয়তন লম্বায় ১২ ফুট ও প্রন্থে qଏ୬ 0-80B