পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল ১৬ ফুট। জলনিকাশের পথ, স্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ ও ছাদের গঠন স্থপতির কৌশলের পরিচয় প্ৰদান করে, দর্শকের মন বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া পড়ে। গুহাটি জৈন সাধকদের সাধনার স্থান। পর্বতগাত্রে উৎকীর্ণ লিপি হইতে তাহার। নিৰ্ম্মাণ-কাল ও পরিচয় পাওয়া যায় । উদয়গিরির সংলগ্ন “কাজিয়াপুরা” পাহাড়ের উপরও একটি কারুকাৰ্য্যমণ্ডিত গুহা বৰ্ত্তমান। অপেক্ষাকৃত পরবর্তী কালের হইলেও গুপ্তযুগের হিন্দু শিল্পীর নৈপুণ্য গুহার গাত্রের ও স্তম্ভের কারুকাৰ্য্যে ফুটিয়া উঠিয়াছে। আয়তন বৃহৎ, মূল পাহাড় কাটিয়া অভ্যন্তরে নিৰ্ম্মিত, ছাদের উপর বিশাল গিরিবপু। বহির্মগুপের ছাদও আসল পাহাড়ের অংশ, তিন দিক উন্মুক্ত, নীচে আটটি চারকোণা সূক্ষ্য-কারুকাৰ্য্যমণ্ডিত স্তম্ভ বৰ্ত্তমান। গঠনধারা গুপ্তযুগের শিল্পধারা অনুযায়ী। ভালসার উদয়গিরির গুহাগুলি খুব পরিচিত না হইলেও ইহার কারুকাৰ্য্য ও শিল্প-সাধনা উচ্চাঙ্গের । হিন্দু শিল্পীর দক্ষতা গুহার গাত্রের মূৰ্ত্তিগুলিতে ফুটিয়া উঠিয়াছে। সকল শ্রেণীর দর্শকই গুহাগুলি দেখিলে আনন্দ ও তৃপ্তি পাইবে । জি. আই. পি. রেলের কানপুর হইতে যে লাইন ঝাঁসীর মধ্য দিয়া ভূপাল গিয়াছে তাহারই মধ্যে ভালসা ষ্টেসনে নামিয়া একা-যোগে বেতুয়া নদী পার হইয়া পশ্চিমে দুই মাইল গমন করিলে বেশ-নগর যাওয়া যায় । সেখানে “খাম্বাবা।” বা হিলিওডোরাসের স্তম্ভ অবস্থিত । ইহার ৪ মাইল দক্ষিণে উদয়গিরি। 8