পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল সাচীর তোরণই যে সর্বপ্ৰাচীন অথবা ইহার পর যে আর কোথাও এরূপ তোরণ নিৰ্ম্মিত হয় নাই তাহ বলা যায় না । ভারতে এই প্রকার তোরণ বিরল হইলেও, চীন ও জাপানে এই সাচীর তোরণের অনুকরণে প্ৰাচীন ও আধুনিক কালের অসংখ্য তোরণ দেখিতে পাওয়া যায়। চীন দেশে তাহাদিগকে “পাইলাস।” (Pai-lus) এবং জাপানে “টোরী-ইজ” (Tori-is) বলিয়া থাকে। ইহা কখনও প্রস্তরের, কখনও বা কাষ্ঠের দ্বারা নিৰ্ম্মিত হয়। ফাগুসান সাহেব লিখিয়াছেন যে, আশ্চর্য্যের বিষয় জেরুজালেমের মন্দিরের সম্মুখে যে দেউল আছে তাহার তোরণও এই সঁচীর তোরণের সদৃশ, কেবল তিনটির স্থানে পাঁচটি পাড় সংযোজিত। দক্ষিণ-তোরণের সর্বনিম্ন সর্দালে ও পশ্চিম দ্বারের পাড়ে বুদ্ধদেবের পরিনির্বাণ-লাভের পর তাঁহার অস্থিরক্ষার জন্য যে বিবাদ হইয়াছিল। সেই কাহিনী শিল্পিগণ ভিন্ন ভিন্ন রূপে নিজ নিজ মতলব ও ধারা অনুযায়ী ক্ষোদিত করিয়াছিল । কাহিনীর চিত্র এমনই বোধগম্য যেন ছায়াচিত্রের ছবি প্ৰতিফলিত হইয়াছে। কাহিনীটি এই--- যখন ভগবান বুদ্ধদেব তাহার এই নশ্বর দেহের অন্তিম সময় আগত জানিতে পারিলেন তখন প্ৰিয় শিষ্য আনন্দকে অন্তিম শয্যা রচনা করিতে আদেশ করিলেন। শয্যা রচিত হইলে তাহার উপর শয়ন করিয়া আনন্দের মুখমণ্ডলের উপর জ্যোতিৰ্ম্ময় নেত্ৰদ্ধয় স্থির ভারে রাখিয়া তিনি কয়েকটি উপদেশ প্ৰদান করেন। তিনি সমবেত শিষ্যমণ্ডলীকে তাহার জন্মস্থান · কপিলবস্তু ও লুম্বিনী ), বুদ্ধত্বপ্ৰাপ্তির স্থান ( গয়া ), ধৰ্ম্মপ্রচারের প্রধান স্থান ( সারনাথ ) ও নির্বাণী-লাভের স্থান ( কুশীনগর )—এই স্থানচতুষ্টয় পরম পবিত্ৰ o জাতকের কাহিনী