পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধ-গয়া প্রিয় শিষ্যদের তিনি কতকগুলি উপদেশ দিয়াছিলেন । তাহার মধ্যে উক্ত চারিটি স্থান বৌদ্ধদের পরম পবিত্র এবং সেই চারিটি স্থান দর্শন করিলে পরম সুখ ও শান্তি লাভ হইবে।-- এইরূপ নির্দেশ দিয়াছিলেন। সেই নিমিত্ত গয়া বৌদ্ধদের পরমপ্রিয় তীর্থ। অশোক তাহার রাজত্বকালের বিংশ বৎসরে বুদ্ধদেবের নির্দেশ অনুসারে বৌদ্ধ-তীৰ্থ-ভ্ৰমণে বহির্গত হইয়াছিলেন। বুদ্ধদেব নির্বাণ-লাভের প্রাক্কালে যে পথ অবলম্বন করিয়া কুশীনগরে গমন করিয়াছিলেন, সেই পথ অনুসরণ করিয়া সম্রাটু অশোক তীর্থভ্ৰমণে গিয়াছিলেন। অশোক প্ৰথমে পাটলিপুত্ৰ হইতে বহির্গত হইয়া গঙ্গা পার হন, তৎপরে আধুনিক মজঃফরপুর ও চাম্পারণ জিলার মধ্য দিয়া গমন করেন। বৈশালীর ধ্বংসাবশেষ ও বাখিরার (Bakhira)৷ সিংহমস্তকভূষিত স্তম্ভ, কেশরীয়ার (Kesariya) ভূপ, লউরীয়ার (Lauriya) সিংহমস্তকভূষিত স্তম্ভ, কুশীনগরের স্তুপ ও লুম্বিনীর অশোকস্তম্ভ আজও সম্রাটু অশোকের তীর্থভ্ৰমণের সাক্ষ্য দিতেছে। তিনি লুম্বিনীতে যে সুন্দর স্তম্ভ স্থাপিত করিয়াছিলেন তাহার গাত্রে কয়েকটি ছত্র উৎকীর্ণ আছে--তাহার অর্থ “মহামান্য সম্রাটু প্রিয়দর্শী ( অশোক ) সশরীরে এই পুণ্যস্থানে আগমন করিয়া বুদ্ধদেবের চরণে শ্ৰদ্ধাঞ্জলি প্ৰদান করেন, কারণ বুদ্ধদেব এই স্থানে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন ২৫ * ” এই শিলালিপি হইতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, ২৫০ খৃষ্টপূর্বাব্দ হইতে এই স্থান বুদ্ধদেবের জন্মস্থানরূপে পূজিত হইয়া আসিতেছে। ( আই. এস. আর. ম্যা.-৩৪৪ পৃঃ) । So