পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধ-গয়া তিনি আরও লিখিয়াছেন যে, মহেশ্বরের দ্বারা স্বপ্নাদিষ্ট হুইয়া “আমরাহ” নামে এক ব্ৰাহ্মণ ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে অশোক-স্থাপিত প্ৰাচীন বিহারটির সংস্কার করিয়া বৰ্ত্তমান আকারের এই মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । কিন্তু “ডক্‌ট্ৰন এণ্ড হিষ্ট অব বুদ্ধিজম” গ্রন্থের ৪১ পৃষ্ঠায় ওয়াসিলিউ (Wassilicu) সাহেব বৰ্ত্তমান আকারের মন্দিরটির নিৰ্ম্মাণের ভিন্ন কাহিনী লিখিয়াছেন এই মন্দির পুণ্য নামে এক রাজপুত্রের দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বৌদ্ধাচাৰ্য উত্তর পুণা এবং তঁাহার আর দুই ভ্ৰাতাকে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। র্তাহাদের মধ্যে একজন সারনাথের মৃগদাবে এবং অপরজন রাজগৃহের বেণুবনে প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড বিহার নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন, আর পুণ্য স্বয়ং বুদ্ধ গয়াতে এই বিশাল বিহার প্রস্তুত করিয়াছিলেন । কানিংহাম সাহেব কয়েকটি তথ্যের উপর নির্ভর করিয়া কোন খৃষ্টপূর্বাব্দে কুশানরাজ হবিক্ষের দ্বারা এই প্ৰকাণ্ড বিহার নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল অনুমান করেন এবং কয়েকটি মুদ্রার উৎকীর্ণ লিপির সাহায্যে এই মন্দিরের অধিকাংশ সংস্কার ও পরিবদ্ধন চতুর্থ খৃষ্টাব্দে হইয়াছে ইহাই প্রমাণ করিতে প্ৰয়াস পাইয়াছেন। তিনি দৃঢ়চিত্তে বলিয়াছেন— ভাস্কর্দ্যের ও স্থাপত্যের পদ্ধতি অবলোকন করিলে মনে হয়। বৰ্ত্তমান আকারের মন্দিরটি দ্বিতীয় হইতে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে গঠিত হইয়াছে। হিউ এনসাং যখন বৰ্ত্তমান আকারের বিহারের বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন তখন নিশ্চয়ই এই বিহারের কাঠাম।। ৬২৯ খৃষ্টাব্দে ছিল। তখন এই বিহার আরও কিছু উচু ছিল কারণ হিউএন সাং-বণিত যে Y8 o 8