পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল এই মত। কিন্তু মহাভারত ও রামায়ণ এই প্ৰাচীন গ্ৰন্থদ্বয়ের মধ্যে গায়ার বিবরণ আছে। রামচন্দ্র ফন্তু নদীর তীরে বালির পিণ্ড দান করিয়া তঁহার পিতৃশ্ৰাদ্ধ করেন। মহাভারতে দেখা যায় “গয়” নামে এক রাজর্ষি এই গয়াধামে বিরাটু যজ্ঞ করিয়াছিলেন এবং সেই যজ্ঞের পুণ্যফলেই গয়া এমন পুণ্যক্ষেত্রে পরিণত হয়। অন্দর গয়াতে কষ্টি-পাথরের কারুকাৰ্যখচিত মন্দিরমধ্যে বিষ্ণুর চরণ রক্ষিত আছে, সেখানে হিন্দুরা ফন্থনদীর তীরে শ্ৰাদ্ধ করিয়া অৰ্ঘ প্ৰদান করেন। মন্দিরে কোন বিগ্ৰহ নাই । অবশ্য ফা-হিয়ান বলিয়া গিয়াছেন- অশোকের সময় হইতে খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দী পৰ্য্যন্ত গয়াতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের একাধিপত্যই সুপ্রিতিষ্ঠিত ছিল, ফা-হিয়ান চতুর্থ খৃস্টাব্দে ভারতে আগমন করেন। তিনিই অশোকের স্থাপিত বোধিদ্রুমের নিকটে বিহারটি দেখিয়াছিলেন। হিউএন সাং ৬২৯ খৃষ্টাব্দে গয়াতে আসিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রচলন ও প্ৰতিপত্তি দেখিয়াছিলেন । সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে হিন্দুপ্ৰাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তদবধি গয়া ও বুদ্ধগয়াতে হিন্দুরই প্ৰতিপত্তি বৰ্ত্তমান কাল পৰ্যন্ত সমভাবে চলিয়া আসিতেছে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম মুসলমান-যুগে ভারত হইতে প্ৰায় বিলুপ্ত হইয়া যায়, বুদ্ধ-কীৰ্ত্তি সমস্ত ধ্বংস পায়, কিন্তু বুদ্ধগয়া অন্যান্য স্থানের ন্যায় তেমন বিধ্বস্ত হয় নাই। ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে ইংরাজদের হাতে যখন গায়াধাম স্থায়িভাবে আসিল, তখন বেহারী হিন্দু সেতাব রায়ের হস্তে এই মন্দিরের ব্যবস্থার ভার অপিত হইয়াছিল; হিন্দু মহন্তের হস্তেই তিনি পাকাপাকি ভাবে এই মন্দির অর্পণ করেন। ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে কানিংহাম সাহেব দুইলক্ষ টাকা ব্যয়ে ইহার ব্যাপক সংস্কার করেন, তাহার পরই গয়ার মহন্ত এই মন্দির Nòd O