পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন কারুকাৰ্যখচিত সুদৃশ্য বহু বৃহৎ বৃহৎ বিষ্ণুমন্দির নিৰ্ম্মিত হওয়ায় ব্ৰজমণ্ডলের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাইয়াছিল। মথুরা ও বৃন্দাবন ভূতলে অমরাবতী বলিয়া প্রকৃতই একদিন প্ৰতীয়মান হইয়াছিল। ভক্ত বৈষ্ণবগণ যেখানে যাহা কিছু পাইয়াছিলেন তাহা দিয়া ব্রজের দেব-মন্দির সজ্জিত করিয়াছিলেন, এবং মহামূল্য মণি-মাণিক্যদ্বারা ভগবানের বরাঙ্গ বিভূষিত করিয়াছিলেন। ব্ৰজমণ্ডলের সেই সব অপূর্ব বৈষ্ণব-শিল্প-নিদর্শন বিশ্ববাসীকে বিমুগ্ধ করে। ১০১৮ খৃস্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর গজনীর সুলতান মামুদ যমুনা পার হইয়া প্ৰথমবার মথুরা লুণ্ঠন করেন। তিনি পুনঃ পুনঃ ব্ৰজমণ্ডল আক্রমণ করিয়া যাবতীয় ধনরত্ন ও সম্পদ লুণ্ঠন করেন এবং সমস্ত শিল্পেশ্বৰ্য্য বিধ্বস্ত করিয়া ব্ৰজমণ্ডলকে হতশ্ৰী করিয়া দেন। তদবধি ভারতের গৌরব-রবি মান হইয়া যায়। গজনীর মামুদের পাশ্বচর নিজামউদ্দীন আহম্মদ তাহার ‘তবাকাত-ই আকবরী তারিখ-ই যামিনি’ গ্রন্থে ব্ৰজমণ্ডলের অতুল ঐশ্বৰ্য্য ও শিল্পসম্পদের নিম্নলিখিতরূপ বৰ্ণনা রাখিয়া গিয়াছেন :- “দুর্গের সম্মুখে স্থাপত্যশিল্পের অক্ষয় কীৰ্ত্তিস্বরূপ আকাশভেদী একটি অপূর্ব মন্দির। এরূপ সুন্দর ও সকল শোভার আস্পদ অপূর্ব দেবালয় সুলতান আর দেখেন নাই। মন্দিরের বহির্দেশে নানা রত্নখচিত বিবিধ ক্ষোদিত মূৰ্ত্তি শোভা পাইতেছিল। সেই গগনস্পর্শী মন্দিরই তৎকালে শ্ৰীকৃষ্ণের বিলাস-মন্দির বলিয়া খ্যাত ছিল। সুলতান আরও দেখিয়াছিলেন, রাজপথের দুই পার্থে ও যমুনাকূলে উৎকৃষ্ট শিল্পনৈপুণ্যে অলঙ্কত পাষাণময় দুই সহস্ৰ দেবমন্দির। প্ৰত্যেক মন্দিরের অভ্যন্তরে বহুমূল্য মণিমাণিক্যমণ্ডিত NYC