পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল দেবমূৰ্ত্তি শোভিত। অধিকাংশ দেবমূৰ্ত্তি সুবর্ণময় ও হীরকখািচতঅলঙ্কার-বিমণ্ডিত। মন্দিরের অলিন্দগুলি সু। ১৯শস্ত ও লৌহশলাকা. দ্বারা পরিবেষ্টিত। মন্দিরের বহির্ভাগ এবং চূড়াগুলিও অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্যের পরিচায়ক। নগরের মধ্যভাগের দেবমন্দির অপর সকল মন্দির হইতে উচ্চ, এবং বিচিত্র বর্ণের মৰ্ম্মর-প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত।” (ব্ৰঃ পঃ, পৃঃ ২/৩/০) এই ভাস্কৰ্য্য দেখিয়া সুলতান বিস্মিত হইয়াছিলেন, কিন্তু গজনীপতি বিশ্বের এই অতুল সম্পদ রক্ষা করা অনুচিত মনে করিয়া নিৰ্ম্মমভাবে এগুলি ধ্বংস করিয়া দেন । বৃন্দাবনের উল্লেখ তাহার পর হইতে মহাপ্রভুর আগমন কাল পৰ্য্যন্ত বিশেষ পাওয়া যায় না । বৃন্দাবনে মন্দির ও মূৰ্ত্তি না থাকিলেও বৈরাগী ও ভগবৎ-প্রেমিকদের বাসস্থানরূপে ব্ৰজমণ্ডল চিরকাল গরায়ান। সেই সব প্রেমিক সাধকগণ যুগে যুগে ভগবৎ-প্রেমের যে অনুপ্রেরণা প্ৰদান করিয়া থাকেন তাহ মানবের চিত্ত বিগলিত করিয়া দেয়। সেই ভাবে উদারপ্রাণ আকবর বাদশাহ হিন্দু বৈষ্ণব সাধনায় বিগলিত হইয়াছিলেন। ১৫৭৩ খৃষ্টাব্দে একদিন যখন আকবর বাদসাহ বজরাআরোহণে যমুনা-বক্ষে বিচরণ করিতেছিলেন, তাহার সঙ্গে মানসিংহ, রায়সিংহ প্ৰভৃতি কয়েকজন হিন্দু রাজা ও সেনাপতি ছিলেন। নৌকা হইতে হরিদাস স্বামীর সুললিত স্তোত্ৰগীত শুনিয়া আকৃষ্ট হইয়া তিনি বৃন্দাবনে অবতরণ করেন ও বৈরাগীদের শ্রদ্ধা, ভক্তি, নিষ্ঠা ও দীনাবস্থা দেখিয়া মুগ্ধ হন। তিনি সমুপস্থিত হিন্দু সামন্ত ও রাজাদিগকে বৃন্দাবনধামে মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করিবার অনুমতি প্ৰদান করেন । তৎপরেই রূপ-সনাতন SSV