পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মথুরাপুর গুরুসদয় দত্ত মহাশয়ের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার অন্যতম কারণ। সিংহমূৰ্ত্তিযুক্ত কটিবন্ধটি ও জয়োল্লাসে মত্ত স্ফীতকেশরযুক্ত পশুরােজ-সমষ্টির গড়ন অপূর্ব। এমন জয়োল্লাসমত্তি সিংহের মিছিল অন্য কোন স্থানে দেখা যায় না। প্রত্যেকটি সিংহ এক একটা পদ্মের কুঁড়ি কামড়াইয়া ছিড়িতে উদ্যত হইয়াছে, প্ৰস্ফুটিত কমলবন ধ্বংস করিয়া মত্ত সিংহগুলি ছুটিতেছে। গুরুসদয় দত্ত মহাশয় লিখিয়াছেন- ‘ That in the whole field of culture, it would be difficult to find a treatinent of the lion motif which can equal this Mathurapur lion motif in vigour and virility of design. (Modern Review, March, 1934). তিনি আরও লিখিয়াছেন—“আমার মনে হয় মথুরাপুরের সিংহের পরিকল্পনায় যে পৌরুষ ও বীরত্বের ব্যঞ্জনা প্ৰকাশ পেয়েছে, বিশ্বের সমগ্ৰ ভাস্কৰ্য্য-শিল্পের ক্ষেত্রে কোথাও তার তুলনা মিলিবে না। এই ‘সিংহকটি’ ছাড়াও মল্লাদৃশ্য, কীৰ্ত্তিমুখ, সিংহমুখী নল প্রভৃতি শিল্পকাৰ্য্যগুলি সংগ্রামের বিজয়সূচক চিহ্ন। দেউলের পশ্চিম দিকের দেয়ালে স্তরে স্তরে নানা ক্ষোদিত মূৰ্ত্তি ও ভাস্বৰ্য্যের সাহায্যে রামায়ণ ও কৃষ্ণলীলার সমস্ত কাহিনী এমনভাবে ধারাবাহিক রূপে বৰ্ণিত হয়েছে যে সেগুলি বীরত্ব ও পৌরুষব্যঞ্জক। সেগুলি যবন্দ্বীপের প্রাম্বানমের ভাস্কর্য্যের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। আমার মনে হয় যে, প্ৰাম্বানমের ভাস্কর্য্যের চেয়েও মথুরাপুরের দেউলের ভাস্কৰ্য অধিকতর বীৰ্য্যবান ও পৌরুষব্যঞ্জক। মথুরাপুর দেউলের আর একটা বিশেষত্ব এই S\Oy