পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল যে, ভাবের পরিকল্পনা ও গঠনপদ্ধতি সমস্তই বাঙ্গলার ও বাঙ্গালীর নিজস্ব।” ( বঙ্গলক্ষনী, চৈত্র, ১৩৪০ ) । দেউলের অন্য দিকের গাত্রে রুক্সিণী-হরণ চিত্রটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করিবার বিষয় । প্ৰবাদ সংগ্ৰামসিংহ নামে এক বার মথুরাপুরে প্রতিপত্তি বিস্তার করেন, তাহারই জয়স্তম্ভম্বরূপ এই দেউল প্ৰস্তুত হয়। এই প্ৰবাদ অনুসারে এই দেউলটি আনুমানিক ১৬৬৫ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সরকারী 2YSVO‘ş-fKVsi(5isi °ğC<qF (ʻ Ro vısed list, ol Aı)cieınt Monuments in Bengal) এই দেউল ১৪৭২ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত বলিয়া উল্লিখিত আছে। এই পুস্তকের ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দের ংস্করণে ( ২২৪ পৃ: ) লিখিত আছে যে বৈদ্যবংশীয় সংগ্রামসিংহ কর্তৃক আনুমানিক দুই শত বৎসর পূর্বে উহা নিৰ্ম্মিত হয়। স্বৰ্গীয় দীনেশচন্দ্ৰ সেন মহাশয় তাহার “বৃহৎ বঙ্গ” পুস্তকের (১ম খণ্ডের ৪৩৩ পৃষ্ঠায়) লিখিয়াছেন, “সংগ্ৰামসিংহ ক্ষত্ৰিয় ছিলেন। তিনি বঙ্গদেশে উপনিবিষ্ট হইয়া বৈদ্য সমাজের সঙ্গে মিশিয়া যাইতে চেষ্টা করেন। বহু বৈদ্য পরিবারের পুত্রকন্যা তিনি জোর করিয়া আপনার পরিবারে বিবাহ দেওয়াইয়াছিলেন । ংগ্ৰামসিংহের কন্যাকে বিবাহ করিতে বাধ্য হওয়াতে উচলি সেন বংশীয় হরিনাথ সেই লজভায় দেশান্তরিত হইয়াছিলেন । “সংগ্ৰামসিংহ তনয়া-পাণিগ্রহণপীড়িতঃ”—-কবিকণ্ঠহার তাহার বৈদ্যাকুলপঞ্জীতে ( ১৬৩৫ খৃঃ অব্দে ) লিখিয়াছিলেন।” সুতরাং ংগ্ৰামসিংহ নিশ্চয়ই তিন শত বৎসরের পূর্দের লোক । বৰ্ত্তমান যুগে এই দেউলের সর্বপ্রাচীন উল্লেখ মেজর রেনেলের ‘জার্নেল এবং মেজর রেনেলের ‘মেময়ার’ গ্রন্থের SVOR