পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল রুদ্ধ দ্বার আছে। দ্বাদশ পালের প্রত্যেকটি পলের মাপ ভিত্তি gss I' o" | মথুরাপুরের মন্দির-গাত্রে একটি অশ্বারোহী শিকারীর মূৰ্ত্তি খুবই তেজোব্যঞ্জক। শিকারীর মুখ চোখ নাই, কেবল দেহের ও মুখের অস্পষ্ট রেখাঙ্কন আছে, ঘোড়াটা অটুট আছে। এই ঘোড়াটি দেখিলেই মথুরাপুরের শিল্পীর দক্ষত উপলব্ধ হয়। স্বৰ্গীয় দীনেশ সেন মহাশয় বৃহৎ বঙ্গে (১ম খণ্ডের ৪৩৩ পৃঃ) লিখিয়াছেন- “কোনারক, অজন্তা, ভুবনেশ্বর বা অন্য কোন স্থানে এইরূপ তেজোময় ঘোড়া হইতে উৎকৃষ্ট ঘোড়া দৃষ্ট হয় না ; ইহার গতি, সমস্ত অঙ্গের লীলায়িত ভঙ্গা এবং দুৰ্দমনীয় বেগ— ভাস্কর কি অদ্ভুত শিল্প-কৌশলে প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন ! কেবল রেখার ইঙ্গিতে তাহার অসামান্য ক্ষিপ্ৰকারিতা ও তেজোগর্ভ বর্শাক্ষেপ যেন ফুটিয়া উঠিয়াছে। বর্শাটি যে ভাবে দেখান হইয়াছে, তাহাতে যেন ভাস্কর মূৰ্ত্তিতে সম্পূৰ্ণ প্ৰাণপ্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন । ঘোড়াটি বেগে এক হরিণের উপর আসিয়া পড়িয়াছে । হরিণের মুখ ঘোড়াটি কামড়াইয়া ধরিয়াছে । * * শিল্পীর কি অদ্ভূত ক্ষমতা ! সে শুধু রেখা দিয়া সমস্ত চিত্র নানারূপ ভঙ্গী-সহকারে অতি অনায়াসে সজীব করিয়া তুলিয়াছে। সমস্ত চিত্রটির মধ্যে একটি অদ্ভুত গতিশীলতা ও শিকারের উত্তেজনা দৃষ্ট হয়।” যশোদা-কৃষ্ণ, ভরত ও রামের চিত্ৰকূটে মিলন, প্ৰজ্বলিত হোমাগ্নি, মল্লযুদ্ধ, সীতার অগ্নিপরীক্ষা, রামসকাশে হনুমান, বাঙ্গলার পল্লিগ্রামের খড়ের ঘর, নৃত্যরতা পুরবাসিনী ও সুন্নানের দৃশ্যাবলী অতি সুন্দর ললিতকলার নিদর্শন। > ○8