পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ट्भांबू°iांझांड्र् জৈনদের বিশ্বাস মন্দির-নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে র্তাহাদের আরাধ্য-দেবতা পারেশনাথ, নেমিনাথ, মহাবীর প্রভৃতির মধ্যে কোন জিনকে প্রতিষ্ঠা করিলে ইহকালের ও পরকালের মঙ্গল হইবে। সেই জন্য মধ্যবিত্ত ব্যক্তিমাত্রই তাহার বিত্ত ও চিত্ত মন্দির-নিৰ্ম্মাণে নিয়োগ করিতেন । তাহার ফলে আমরা ভারতের নানা স্থানে স্থাপত্যের, শিল্পের, ভাস্কর্য্যের চরম উন্নতি ও বিকাশ বহু জৈন মন্দিরে দেখিতে পাই । বৰ্ত্তমান যুগেও ধারওয়ার জিলার লাক্কান্দী, শত্রুঞ্জয় পর্বতের (পালিটনা) ঋষভনাথের মন্দির, গির্নার (গুজরাটে ) পর্বতের নেমিনাথের মন্দির, অর্বন্দ পাহাড়ের (মাউণ্ট আবুর) বিমলশ মন্দির, পরেশনাথ পাহাড়ের পার্শ্বনাথের মন্দির, যোধপুর রাজ্যের মধ্যে রানপুরের আদিনাথের মন্দির, গোয়ালিয়ারের পর্বত-গুহার ৫৩' উচ্চ জিনমূৰ্ত্তি-সমেত বিহার এবং খাজুরাহের নেমিনাথ, আদিনাথ ও পার্শ্বনাথের মন্দিরসমূহের ভাস্কৰ্য, স্থাপত্য ও শিল্লৈশ্বৰ্য্য বিশ্ববাসীকে বিমুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। জৈন মন্দিরগুলি সমস্তই শিখরযুক্ত এবং সূক্ষম কারুকাৰ্য্য-মণ্ডিত। জৈন-ধৰ্ম্ম রাজধৰ্ম্ম হইবার সৌভাগ্য অতি কম হইলেও, জৈনদের মধ্যবিত্ত ধনী ব্যক্তিদের কৃপায়ই জৈন শিল্পের যথেষ্ট উন্নতি ও বিকাশ হইয়াছিল। কোন একটা বিরাটু দেউল না। থাকিলেও সংখ্যাধিক্যে ও শ্রেষ্ঠ শিল্পেশ্বর্ঘ্যে জৈনদিগের মন্দির ভারতের শিল্পীরাজ্যে শ্রেষ্ঠ আসন অধিকার করিয়া রহিয়াছে। YVOV9