পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামটেক তদবধি এই গিরি হিন্দুদের নিকটে পরম পবিত্র তীর্থ এবং ইহার নাম ‘তাপসগিরি”, ‘সিন্দুরগিরি” বা “রামগিরি (কানিংহাম সাহেবের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে রিপোর্ট, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃঃ ১১ ) । ইহার ‘সিন্দুরগিরি” নাম হইবার অন্যতম কারণ-রামটেক পাহাড়ের প্রস্তর ভাঙ্গিলে রক্তধারার ন্যায় দেখা", কিংবদন্তী প্ৰচলিত যে, শম্বুক শূদ্র রামচন্দ্ৰ-কর্তৃক নিহত হওয়াতে তাহারই রক্তে এই পাহাড় প্লাবিত হয়, সেই জন্যই প্ৰতি প্ৰস্তরখণ্ড-মধ্যে এই প্ৰকার রক্তধারা দেখা 22 । এই রামগিরির পরম প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যই মহাকবি কালিদাসকে তাহার মেঘদূত-রচনায় অনুপ্রেরণা প্ৰদান করিয়াছিল। রাম-লক্ষণের মন্দিরের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি সুদৃশ্য মঞ্চ আছে, তাহার নাম ‘রাম ঝরকা’। কালিদাসের বর্ণিত বিরহী যক্ষ এই স্থানে বসিয়াই বোধ হয় তাহার সন্তপ্ত হৃদয়ের মৰ্ম্মকথা মেঘের নিকট প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। প্ৰকৃতিরাণীর সৌন্দৰ্য্যময় ক্ৰোড়ে দাড়াইয়া ব্যথিত হৃদয়ে বিরহী তাহার প্রণয়িনীর নিকট মেঘকে দূতরূপে গমন করিবার জন্য যে সব প্ৰাণের কথা নিবেদন করিয়াছিলেন তাহা যেন এখনও এই গিরিতে মুখরিত ও প্ৰতিধ্বনিত হইতেছে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রী মহাশয় রামটেকই কালিদাসের “রামগিরি’ বলিয়া সপ্ৰমাণ নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছেন। সম্প্রতি এই স্থানের এক গুহাতে একটি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই স্থানেই কালিদাসের এক সময়ের লীলানিকেতন ছিল শিলালিপি-পাঠে ইহাই নিৰ্দ্ধারিত হয়। Տ 8Գ