পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল রামটেক পল্লী হইতে পৰ্বতারোহণের পথ গিরিবরকে বেষ্টন করিয়া ধীরে ধীরে উঠিয়া ‘অস্বরা” হ্রদতীরে উপনীত হইয়াছে। এখানেই রামগিরি দুর্গের বাহির প্রাচীরের প্রথম তোরণ-তোরণটি উচ্চ, প্রস্তরী-নিৰ্ম্মিত-দিল্লীর পুরাণ কিল্লার তোরণের অনুকরণে গঠিত। এই তোরণের মধ্য দিয়া, 'অম্বরা” হ্রদের তীরে তীরে কিয়দ্দূর অগ্রসর হইলে পাহাড়ের বাম ধারে গিরিবপুর উপর উঠিবার সোপান রহিয়াছে। ভারতের সৌভাগ্যরশ্মি যখন মান হইয়া যায় নাই, তখন এক স্বাধীন মহারাষ্ট্র-নরপতি এই রামগিরির দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া রামচন্দ্রের মন্দিরটি নিরাপদ করিয়াছিলেন। এখান হইতে প্ৰায় সাত শত সোপান অতিক্ৰম করিয়া উঠিলে পর্বতের শিরে উপনীত হওয়া যায়। পথিমধ্যে দ্বিতীয় প্রাকারের ছোট এক তোরণের মধ্য দিয়া সোপান-শ্রেণী চলিয়াছে। এই দ্বারের বাম দিকে একটি পুরাণ মসজিদ দেখা যায়, মুসলমান যোদ্ধারা এখানেও আসিয়াছিল তাহারই নিদর্শন এই মসজিদ। সোপানগুলি বিস্তৃত প্ৰস্তর-দ্বারা মণ্ডিত। অনেকগুলি সোপানের গাত্ৰে দাতার নাম, ধাম ও নিৰ্ম্মাণের কাল উৎকীর্ণ রহিয়াছে। আরও কতকগুলি সিড়ি বাহিয়া উঠিলে দুগের প্রধান সুদৃঢ় প্রাকারের নিকট উঠা যায়, এখানে একটি তোরণের মধ্য দিয়া একটু অগ্রসর হইলে ডান দিকে এক মণ্ডপে বৃহৎ বরাহ-মুৰ্ত্তি রহিয়াছে। মণ্ডপটির ছাদ চারিটি স্তম্ভের উপর ন্যস্ত, মূৰ্ত্তির আকার ৮২ ×৮; সম-চতুষ্কোণ, ৬'৬" উচ্চ এবং খুবই প্রাচীন। বরাহের গাত্রে পুরু। সিন্দূরের প্ৰলেপ থাকায় তাহার স্বরূপ আদৌ বোঝা যায় না। এই 87