পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর লিঙ্গরাজ মন্দিরের প্রাঙ্গণ সর্বসমেত ১৬৬ হাত দীর্ঘ ও পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থে ২৬৬ হাত, চারিদিকে ৫ হাত উচ্চ 2lišiଖ । সমস্ত অংশই বিনা মসলায় কেবল প্ৰস্তরখণ্ড সাজাইয়া নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ফাগু সান সাহেব বিমানগাত্ৰস্থ কারুকাৰ্য্য দেখিয়া অনুমান করিয়াছেন যে, খোদাই কাজ কাঠের রথের অনুকারণেই নিৰ্ম্মিত এবং ইহাতে দ্রাবিড় পদ্ধতিতে মন্দির-নিৰ্ম্মাণের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । স্থাপত্য-শিল্পের জন্য প্ৰস্তর ব্যবহৃত হইবার পূর্বে কাঠই যে মন্দির-নিৰ্ম্মাণের প্রধান উপাদান ছিল এই কথা অনুসন্ধানী পণ্ডিতগণ স্বীকার করিয়া থাকেন। ভুবনেশ্বরের ওড্র-স্থাপত্যকলায় উড়িষ্যার শিল্পিগণের আশ্চৰ্য্য প্ৰতিভা দেদীপ্যমান । স্থাপত্যের দিক দিয়া উৎকলের মন্দিরগুলি তিন শ্রেণীতে বিভক্ত—“মুক্তেশ্বরে’র স্তম্ভহীন মন্দিরই প্ৰথম শ্রেণীর দেউলের প্রাচীনতম আদর্শ। ফাগু সান ইহাকে ‘জুয়েল অব উড়িস্যিয়ন আর্ট” বলিয়াছেন। লিঙ্গরাজ মন্দির দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তৰ্গত, শিখর-সংযুক্ত ও অত্যুচ্চ । তৃতীয় শ্রেণীর মন্দিরগুলি সমস্তই স্তম্ভযুক্ত, বহুকারুকাৰ্য্যমণ্ডিত। ‘রাজা-রাণী'র মন্দিরই এই শ্রেণীর শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ভুবনেশ্বরের অধিকাংশ মন্দিরে বিশেষতঃ প্ৰধান প্ৰধান মন্দিরগুলিতে বা মণ্ডপে স্তম্ভ ব্যবহৃত হয় নাই। ইহাই এখানকার মন্দির-স্থাপত্যের বৈশিষট্য । মন্দিরের গাত্ৰস্থ মূৰ্ত্তিগুলির মধ্যে অন্ট সখী, অষ্ট দিকপাল, কাৰ্ত্তিক, গণেশ ও পার্বতীর মূৰ্ত্তিগুলি সর্বাগ্রে দৃষ্টিপথে পড়িয়া থাকে। কাৰ্ত্তিকমূৰ্ত্তি পশ্চিমের কুলঙ্গীতে, পাৰ্বতীমূৰ্ত্তি উত্তরের খাজে এবং গণেশ দক্ষিণের বঁাকে অবস্থিত। Σ Ο