পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর “মানুষ এই প্ৰস্তরের ভাষায় যাহা বলিবার চেষ্টা করিয়াছে, তাহা সেই বহু দূরকাল হইতে আমার মনের মধ্যে ধ্বনিত হইয়া উঠিল । • “সে কথা এই—দেবতা দূরে নাই, গির্জায় নাই, তিনি আমাদের মধ্যেই আছেন। তিনি জন্ম-মৃত্যু, সুখ-দুঃখ, পাপপুণ্য, মিলন-বিচ্ছেদের মাঝখানে স্তব্ধভাবে বিরাজমান। এই সংসারই তার চিরন্তন মন্দির। এই সজীব-সচেতন বিপুল দেবালয় অহরহঃ বিচিত্ৰ হইয়া রচিত হইয়া উঠিতেছে। ইহা কোনকালে নূতন নহে, কোন কালে পুরাতন হয় না। ইহার কিছুই স্থির নহে, সমস্তই নিয়ত পরিবর্তমান অথচ ইহার মহৎ ঐক্য, ইহার সততা, ইহার নিত্যতা নষ্ট হয় না । কারণ এই চঞ্চল বিচিত্রের মধ্যে এক নিত্য সত্য প্ৰকাশ পাইতেছে।” ( বঙ্গদর্শন, ১৩:১০, পৌষ) উড়িষ্যার মন্দিরগুলির চুড়া প্ৰায় একই ধারায় নিৰ্ম্মিত, অত্যুচ্চ ও মোটা গোলাকৃতি। লিঙ্গরাজ মন্দিরটি দূর হইতে পর্বতের ন্যায় বিপুলকায় দেখায়। ভিত হইতে ১৮০ ফুট উচ্চের চুড়ার কলস পৰ্যন্ত অতি সূক্ষম কারুকাৰ্য্যমণ্ডিত। চুড়ার গাত্রে সুকৌশলে অনেকগুলি খাঁজ খাড়াইভাবে (Vertical section (4) কাটা রহিয়াছে, সেইজন্য ইহাকে DBDD D BDBD DBBD DBD DB S KLB BDLHB DBD Ric-y its (horizontal ribs) কাটা আছে । ইহার দ্বারা একঘেয়ে ভাব বিদূরিত হইয়াছে । মন্দিরগাত্ৰ হইতে বাহির হইয়া চারিপার্শ্বে কতকগুলি শাৰ্দলমূৰ্ত্তি মুখ ব্যাদান করিয়া কেশরী-রাজবংশের বীরত্বের মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে । YS 2-1304B.