পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর পূর্বে উল্লেখ করা হইয়াছে যে, হাতীগুম্ফাটি সর্বপ্রাচীন ও জৈন গুহা। ইহা সঁচীর ও ভারুট ভূপের পূর্ববৰ্ত্তী সময়ের বলিয়া প্রত্নতাত্ত্বিকরা অনুমান করেন । এই গুহাগুলিতে বৌদ্ধ-স্থাপত্য বা -ভাস্কর্য্যের কোন নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায় না । গাজলক্ষী, শ্ৰী, সাপ, পবিত্ৰ বৃক্ষ, স্বস্তিকা-আদি ধৰ্ম্মমত-প্রতিরূপ চিহ্নগুলি যদিও বৌদ্ধশিল্পীরাও ব্যবহার করিয়াছেন, তথাপি এইগুলি জৈনরাই বেশীরভাগ তাহদের ধৰ্ম্মমতের প্রতিরূপ চিহ্নরূপে ব্যবহার করিতেন । এই গুহাগুলির মধ্যে চব্বিশটি জৈন তীর্থঙ্করের মূৰ্ত্তি স্থাপিত রহিয়াছে। সৰ্পগুহাটির সম্মুখের দ্বারের উপর বৃহৎ অজগর সর্প তিনটি ফণা বিস্তার করিয়া রহিয়াছে। ইহাতেও হাতীগুম্ফারই মত প্ৰাচীন শিলালিপিতে ‘চুলাকম এর কুটার (the unequaled chamber of (hulakam) উৎকীর্ণ আছে। হরিদাস-গুহাটি বেশ বড় ঘর, ইহার তিনটি দ্বার এবং সম্মুখের বারাণ্ড পর্বতের অভ্যন্তরেই ক্ষোদিত হইয়াছে। গণেশ-গুম্ফা এবং রাণী-গুম্ফ এখানকার গুহাবলীর মধ্যে প্ৰসিদ্ধ। রাণী-গুম্ফাটি রাণী হংসপুরা, রাণী-কা-নায়ুর নামেও খ্যাত । কিংবদন্তী আছে যে, ইহা রাজা ললাটেন্দ্ৰ কেশরীর রাণী সপ্তম খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। সপ্তম শতাব্দীতে ভ্রমণের সময়ে কলিঙ্গ দেশ জৈনদের প্রধান আডিড ছিল বলিয়। হিউয়েন সাং লিখিয়া গিয়াছেন। (Beal-এর ‘বুদ্ধিষ্ট রেকর্ড, দ্বিতীয় ভাগ, পৃঃ ২০৮।) রাণী-গুম্ফাটির দুইধারে কাষ্ঠের বারাণ্ডার ভগ্ন অংশ এখনও দেখা যায়। সেখানকার একটি প্রাচীন গুহা বেশ বৃহদায়তনের এবং 〉やQ