পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোন্নাৱকের সূৰ্য্যমন্দির “ভারতবর্ষের তীর্থস্থানগুলির কোনটি সাগর-সরিৎ-সঙ্গমে, কোনটি গিরিশিখরস্থ চিরন্তন তুষারমধ্যে, কোনটি বা জনবিরল সমুদ্র-কূলে অবস্থিত। এই সকল স্থানে অনন্তের ছায়া প্ৰতীয়মান হয়, এবং মানবহৃদয়ও তাহা বিশেষরূপে অনুভব করিতে পারে। তাই মানব তথায় তার নিজকৃত মন্দির, মূৰ্ত্তি এবং সুন্দর ক্ষোদিত প্ৰস্তর-ফলকসমূহে যেন লিখিয়া রাখিয়াছে—“আমার কথা শ্রবণ কর-আমি অমৃত পুরুষের সন্ধান পাইয়াছি।” মানবের ব্যক্তিত্বের যতই বিকাশ হয় এ অপূর্ব আলোক ততই দূরে বিচক্ষুরিত হইতে থাকে। শিল্পরাজ্যও ততই তাহার সীমা অতিক্ৰম করিয়া অজ্ঞাত দেশে প্রসার লাভ করিতে থাকে। তাই শিল্প-সৌন্দর্ঘ্যের নিদর্শন দ্বারা তাহার জগৎ-জয়ের বাৰ্ত্ত জ্ঞাপন করিতেছে। তাই যে সকল স্থানে কোন শব্দ শ্রত হয় না, কোন বর্ণই নয়ন-গোচর হয় না, সেখানেও এই নিদর্শনগুলি বিরাজমান। গুহা-নিহিত অন্ধকারও তাই মানব আত্মাকে শান্তি-সুখ দান করিয়াছে ও তদ্বিনিময়ে শিল্পের মোহন মালায় নিজ শির অলঙ্কত করিয়াছে।” (শ্ৰীযুক্ত গুরুদাস সরকার মহাশয় কর্তৃক 'Tagore’s Personality পুস্তকের ৩২ পৃষ্ঠার অনুবাদের অংশ।) কোনারকের সূৰ্য্যমন্দিরের শিল্পীও নিজ শির শিল্পের মোহন মালায় অলঙ্কত করিয়া অমর হইয়াছে। এই মন্দিরের শিল্প ঐশ্বৰ্য্যের কথা যত অধিক বলা বা লেখা হইয়াছে ভারতের d) Ved 22-1803,