পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল এখানে ব্রাকেটের উপর ছাদ ন্যস্ত রহিয়াছে। ফোকরের উপর ছাটাই সমতল একটি প্ৰস্তর রক্ষিত হইয়াছে। ইহাই ছাদের তলা ( সিলিং)-রূপে ব্যবহৃত। সমস্ত ছাদ লৌহ বিমের উপর ন্যস্ত। ষ্টালিং সাহেব বিমের মাপ ১৮" লম্বা ও ১২" × ১২” বেড় দিয়াছেন। কিন্তু ফাগুসন এই বিম ২৩ ফুট লম্বা ও ৮“×৯” মোটা লিখিয়াছেন। এখন বিমগুলি মেঝের উপর পাড়িয়া আছে। সেই প্ৰাচীন কালেও ভারতের হিন্দু স্থপতিরা এমন সুদৃঢ় লৌহ বিম প্ৰস্তুত করিতে পারিতেন, ইহা যেমন বিস্ময়কর তেমনই রহস্যময়, এত দিনের জলবায়ুর পীড়নে বিমগুলির গাত্রে মরিচ পড়ে নাই। এই সব উৎকৃষ্ট শিল্প উৎপাদনের প্রাচীন প্ৰথা এখন আর ভারতবাসীরা জানে না, এবং তাহ জানিবারও উপায় নাই। কোন কোন পাশ্চাত্ত্য বৈজ্ঞানিক ইহা উপেক্ষার চক্ষে দেখিয়া থাকেন। বৰ্ত্তমান মহাযুদ্ধে ( ১৯৩৯-৪১ খৃঃ) জাৰ্ম্মানরা যে সব অভিনব যুদ্ধোপকরণ ব্যবহার ও উৎপাদন করিতেছেন তাহার অনুরূপ এই আজব দেশের শাস্ত্ৰে, পুরাণে, মহাকাব্যে বর্ণিত রহিয়াছে। শব্দভেদী বাণ, পুষ্পক রথ, মেঘের অন্তরালে যুদ্ধ প্ৰভৃতির কথা ভারতবাসী অবগত আছে। কোনারকের মন্দিরের গঠন-পদ্ধতি বিশেষতঃ ইহার ‘কোণ”, ‘খাজ’, ‘বাক’, ‘ছেদভেদ’ অতি সুঠু ও সুবিবেচনার সহিত গঠিত হইয়াছে। ফাগুসান সাহেব ইহার স্থাপত্য-কৌশল বৰ্ণনা করিয়া লিখিয়াছেন যে, পাশ্চাত্ত্য দেশের কোন স্থপতি বা শিল্পী এই মন্দিরের স্থাপত্য অপেক্ষা উৎকৃষ্ট কলাকৌশলের Pfb8 fii CVS ve 23 ofě i “There is so far as I SR