পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ङझ८ङझ 6व-6ण्टेव् বিদ্যমান। কলিঙ্গ-তক্ষণশিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন এই বেদীর কারুকাৰ্য্য। স্বৰ্গীয় মনোমোহন গাঙ্গুলী তাহার “উড়িষ্যা এণ্ড হার রিমেন্স” গ্রন্থের ৪৪৩ পৃষ্ঠায় এই বেদীর কারুকাৰ্য্যের বিশেষ বর্ণনা করিয়াছেন । মন্দিরের শিখরাংশের প্রস্তরখণ্ডে তিনটি অপূর্ব সূৰ্য্যমূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রহিয়াছে। পশ্চিম ও দক্ষিণের মূৰ্ত্তিদ্বয় দণ্ডায়মান, একটির মস্তকে মুকুট, অন্যটির শিরোভূষণ জটার ন্যায় লম্বা কুঞ্চিত কেশগুচ্ছ। তৃতীয় মূৰ্ত্তি—সূৰ্য্যদেব অশ্বোপরি বসিয়া আছেন। সরকারী পূৰ্ত্তি-বিভাগ মন্দিরের দ্বারগুলি রুদ্ধ করিয়া মন্দিরের অভ্যন্তর বালুক ও প্রস্তরখণ্ড-দ্বারা পরিপূর্ণ করিয়া রাখিয়াছেন । ডাঃ কুমারস্বামী লিখিয়াছেন যে— কোনারকের ভাস্কৰ্য্য ও স্থাপত্যের এরূপ নির্দোষ সামঞ্জস্য জগতের অপর কোথাও দৃষ্ট হয় না। ভিন্সেণ্ট স্মিথ সাহেব এই মন্দিরই মধ্যযুগের উডু-শিল্পকলার শেষ অভিব্যক্তি ও চরম বিকাশ বলিয়াছেন । মন্দিরে তিন থাক প্ৰশস্ত কানিস আছে, তাহার গড়নের উপর শিকার, শোভাযাত্রা, সাংসারিক গৃহস্থালী, হাট-বাজার, আমোদ-প্ৰমোদের নিখুত ছবি ক্ষোদিত হইয়াছে। কানিসের নীচে যে অবলম্বন (ব্রাকেটু ) রহিয়াছে, সেগুলি ৮” চওড়া । কানিস লম্বায় ৩০০০ ফুট—মন্দিরের এই অংশে ছোট বড় প্ৰায় ৬০০ মূৰ্ত্তি খোদাই করা হইয়াছিল। মন্দিরটি দক্ষিণ দেশের কাঠের রথের পরিকল্পনায় গঠিত । ভিতের গাত্রে আটটি রথচক্ৰ বিদ্যমান। প্ৰত্যেকটি চক্রের y 8