পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনরক ব্যাস ৯'৮', ইহার কাঠি-গুলি সূক্ষম কারুকাৰ্য্যমণ্ডিত। এক সময়ে জগন্নাথ দেবের রথযাত্র উৎসবের ন্যায় কোনারকেও সূৰ্য্যদেবের রথ-উৎসব সমারোহের সহিত সম্পন্ন হইত। লক্ষ লক্ষ নরনারী দেশ-বিদেশ হইতে উৎসবে যোগদানের নিমিত্ত সমবেত হইত। ডাঃ রাজেন্দ্রলাল মিত্র মহাশয় জগন্নাথের রথযাত্ৰা উৎসব একটি বৌদ্ধদের অনুষ্ঠান বলিয়া লিখিয়াছেন । ‘আইনী-আকবরী’ গ্রন্থের ইংরাজি অনুবাদে মিঃ জেরেট সাহেব ১২৮ পৃঃ লিখিয়াছেন-মন্দিরের প্রাচীর ও বেষ্টনীর মধ্যে তিনটি তোরণ ছিল। পূর্ব তোরণে দুইটি মত্ত হস্তী শুণ্ডের দ্বারা এক একটি নরমূৰ্ত্তি উত্তোলন করিয়া রহিয়াছে । পশ্চিম দ্বারে দুইটি সুসজিজত অশ্বোপরি দুইজন আরোহী বসিয়া আছে, পাশ্বে এক এক জন অনুচর দণ্ডায়মান । অপর তোরণদ্বয়ের পাশ্বে দুইটি শাৰ্দল দুইটি হস্তীর উপর আক্ৰমণ করিবার ভঙ্গিমায় নিৰ্ম্মিত রহিয়াছে । মন্দিরের গাত্রে কারুকাৰ্য্যের অন্ত নাই । পোস্তায় শ্রেণীবদ্ধ গজেন্দ্রের সারিবদ্ধ ভাবে মিছিলে গমন করিবার ভঙ্গি অতি চিত্তাকর্ষক। মন্দির-গাত্রে যে শত শত নারীমূৰ্ত্তি ক্ষোদিত রহিয়াছে, সেইগুলি যেমন সুশ্ৰী তেমনই প্রীতিকর । বীণাহস্তা, মৃদঙ্গবাদ্যরত ও নৃত্যশীলা রমণীমূৰ্ত্তিগুলির ভঙ্গী অত্যন্ত মনোহর, কমনীয় ও সুঠাম। ডাঃ কুমারস্বামী তাহার “আর্টস এণ্ড ক্রাফটুস অব ইণ্ডিয়া এণ্ড সিলোন” গ্রন্থের ৭৫ পৃঃ তে লিখিয়াছেন, কোনারকের মন্দিরের গাত্রে নারীমূৰ্ত্তিগুলি দেখিলে স্পষ্টই মনে হয় প্রেমিক ব্যতীত অপর কোন শিল্পী এরূপ রমণীর মূৰ্ত্তি গঠন করিতে সমর্থ হইবে না। ֆԳ6: