পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের দেব-দেউল মন্দিরের গাত্ৰে আলম্বনের (frieze) উপর আলিঙ্গনবদ্ধ নাগ-নাগিনীগণের যুগলমূৰ্ত্তি বড়ই মনোহর। দেহের নিম্নভাগে সপাকৃতি পুচ্ছের লীলায়িত আবৰ্ত্তনে শিল্পীর সৌন্দৰ্য্যজ্ঞান ও তাহার ভাবপ্ৰকাশের কৃতিত্ব বিশদভাবে প্ৰকাশ পাইয়াছে। অবশ্য মন্দিরগাত্রে বহু অশ্লীল মূৰ্ত্তি রহিয়াছে, তাহার স্বপক্ষে বলিবার কিছু না থাকিলেও এইগুলি শিল্পীর নব নব পরিকল্পনার ও সৃষ্টিশক্তির পরিচয় প্ৰদান করে। চিত্ৰশিল্পী শ্ৰীযুক্ত অবনীন্দ্ৰনাথ ঠাকুর লিখিয়াছেন—“চিরযৌবনের হাট বসিয়াছে, চির-পুরাতন অথচ চির-নূতন কেলিকদম্বতলে নিখিলের রঙ্গলীলা চলিয়াছে * * * এখানে কিছুই নীরব নাই, নিশ্চল নাই, অনুর্বর্বর নাই। পাথর বাজিতেছে মৃদঙ্গের মন্দ্ৰস্বনে, পাথর চলিয়াছে তেজীয়ান অশ্বের মতো বেগে রথ টানিয়া, উর্বর পাথর ফুটিয়া উঠিয়াছে নিরন্তর পুম্পিত কুঞ্জলতার মতো শ্যামসুন্দরের আলিঙ্গনের সহস্ৰ বন্ধনে চতুৰ্দিক বেড়িয়া।” ( পথে বিপথে, ১১৫ পৃঃ) । গৃহ-নিৰ্ম্মাণ-সময়ে অসৎ জনের কুদৃষ্টি হইতে ত্ৰাণ পাইবার জন্য ভাড়ার বঁাশে ঝাটা ও ছেড়া জুতা কারিগরেরা বুলাইয়া রাখে—স্বৰ্গীয় মনোমোহন গাঙ্গুলী মহাশয় অনুমান করিয়াছিলেন-— সেইরূপ উড়িয়া শিল্পীরা প্ৰেতিযোনির হাত হইতে নিস্কৃতি পাইবার আশায় এইরূপ রিরংস-ব্যঞ্জক মিথুন-চিত্র মন্দিরগাত্রে ক্ষোদিত করিত। (উড়িষ্যা এণ্ড হার রিমেন্স-২২৮ পৃঃ) ভিন্সেণ্ট স্মিথও তাঁহার ভারতীয় ললিত কলার ইতিহাসে লিখিয়াছেন, দুষ্ট প্ৰেতিযোনি প্ৰভৃতি যাহাতে দেউলের সন্নিধানে y V ब्रिद्वारेम-cछाङक মিথুনমূৰ্ত্তি