পাতা:ভারতের দেব-দেউল - জ্যোতিশ্চন্দ্র ঘোষ.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাবলিপুরম মধ্যে অতুলনীয়। দুর্গার চক্ষুর জ্যোতিঃ, গঠনের ভঙ্গিমা ও দশভুজের প্রসার অপূর্ব শক্তি প্ৰকাশ করিতেছে। শরীরের গঠন-প্ৰণালীতে যে দৃঢ়তা অন্তরের কঠোর ভাব প্ৰকাশ করিতেছে, উহাই দেবীর মাহন্ত্ৰ্যের প্রতীক ; দেবী মহিষমুখ— অসুরকে পদদলিত করিয়া দশ হাতে নানা আয়ুধ ধারণ করিয়া উহাকে নিধন করিতে উদ্যত । এমন করিয়াই রিপুদমন করিতে হয়। দেবীর এই শক্তি- প্ৰকাশক মূৰ্ত্তি ভীতি উৎপাদন করে বলিয়া তিনি একটি হস্তে মানবকে অভয় প্ৰদান করিতেছেন। দুৰ্গার মূৰ্ত্তিটি তেজোদীপ্ত হইলেও নেত্রদ্বয় স্নেহ ও করুণা-বিমণ্ডিত । অসুরের গর্বমণ্ডিত উদ্বেগপূর্ণ মূৰ্ত্তিটিও অপূর্বব। গুহার বাম প্রাচীরে বিষ্ণুর অনন্তশয্যায় শায়িত বিরাট মূৰ্ত্তি ক্ষোদিত আছে। তাহার মস্তকোপরি অনন্তনাগ বহু ফণা বিস্তার করিয়া আছে। বিষ্ণুর দেহের গঠন যেমন রমণীয়, নেত্ৰ দুইটিও তেমনই কমনীয়। মধ্যের প্রাচীরে হরের ক্ৰোড়ে পার্বতী বসিয়া অনন্ত সাগরের প্রতি চাহিয়া অনন্ত লীলার ব্যাখ্যা শুনিতেছেন । ভোলানাথের মূৰ্ত্তি যেমন মহান, পাৰ্বতীর বক্ষঃ তেমনই উদার । কি সাধন-বলেই পাথর কাটিয়া শিল্পী জীবের রহস্যকাহিনী মূৰ্ত্তি করিয়া তুলিয়াছিল। সে শিল্পী আজ কোথায় ! শিল্পীর সে সৃষ্টিশক্তি আজ লুপ্ত, শিল্পীর তেমন শক্তি আর কি কখনও মূৰ্ত্ত হইবে না ? কৃষ্ণলীলা, পঞ্চপাণ্ডব, বরাহস্বামী গুহাগুলির কারুকাৰ্য্য পরম রমণীয়। গণেশের রথটি ও এই গুহাগুলি প্ৰায় S S S